বেঙ্গালুরু : এ রাজ্যে মাঝেমধ্যেই টাকা উদ্ধারের ঘটনা এখনও দেখা যাচ্ছে। নেতা-মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে! বারবার টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা চলছে। এই ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এবার পাহাড়-প্রমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটল কর্ণাটকের (Karnataka) বিজেপি বিধায়কের (BJP MLA) আমলা-পুত্রের বাড়ি থেকেই। শুধু তা-ই নয়, ঘুষ নেওয়ার সময় তাঁকে হাতেনাতে ধরাও হল। এদিকে এ বছরই শেষের দিকে বিধানসভা ভোট রয়েছে কর্ণাটকে। তার আগে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশা গ্রাস করেছে বিজেপি শিবিরকে।


রাজ্যের ন্যায়পাল লোকায়ুক্তের দুর্নীতি বিরোধী শাখা কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক মাড়াল বিরুপক্ষপ্পার ছেলে প্রশান্ত মাড়ালের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে বিশাল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি টাকা। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত তল্লাশি চলে। 


বিখ্যাত মাইসোর স্যান্ডাল সাবানের কথা আমরা প্রায় সবাই জানি। এই সাবান যারা তৈরি করে রাজ্য মালিকানাধীন সেই কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান তথা কর্ণাটকের দেবনগরী জেলার চান্নাগিরির বিধায়ক মাড়াল বিরুপক্ষপ্পা। তাঁর ছেলে প্রশান্ত বেঙ্গালুরু ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়ারেজ বোর্ডের চিফ অ্যাকাউন্টেন্ট। 


বৃহস্পতিবার এহেন বিরুপক্ষপ্পার ছেলেকে KSDL অফিসে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরেন কর্ণাটকের লোকায়ুক্ত আধিকারিকরা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর পাশাপাশি ওই অফিস থেকে তিন ব্যাগ ভর্তি প্রায় ১.৭৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।   


কর্ণাটক অ্য়াডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস-এর ২০০৮ ব্যাচের অফিসার প্রশান্ত। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। প্রশান্ত সাবান ও অন্যান্য ডিটারজেন্ট তৈরির জন্য কাঁচামালের সামগ্রীর একটি ডিলের জন্য ঠিকাদারের কাছ থেকে ৮১ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা নিয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "স্বাধীনভাবেই তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে। ওই টাকা কার, কার কাছ থেকে এসেছিল সব তথ্য লোকায়ুক্তের কাছে আছে। তা প্রকাশ্যে আসবে।"


তবে, এই ঘটনায় দলের মুখ পুড়লেও, বিরোধী কংগ্রেসকে নিশানা করতে ছাড়েননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই বলেন, "আমি যেটা বলতে পারি তা হল, এরাজ্যে লোকায়ুক্ত পুনরায় শুরু করার কারণ, রাজ্য থেকে দুর্নীতি হটানো। লোকায়ুক্ত-ছাড়াই কংগ্রেস আমলে এরকম অনেক ঘটনা পাওয়া গেছে, যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। "