নয়াদিল্লি: কর্ণাটকে (Karnataka)  দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমেছে। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফ নিম্নমুখী। এই অবস্থায় কর্ণাটক সরকার সপ্তাহান্তের কার্ফু (weekend curfew)অবিলম্বে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে নৈশ কার্ফু যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়লে সপ্তাহান্তের কার্ফু ফিরিয়ে আনা হবে।


মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই বুধবারই সাপ্তাহান্তের কার্ফু তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। রাজ্যে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা অনেকটাই কম হওয়া ও তৃতীয় ঢেউয়ে গুরুতর অসুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কোভিড বিধি কঠোরভাবে মেনে চলে চলতি ঢেউ মোকাবিলা করা যেতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বিধিনিষেধের প্রয়োজন নেই। 
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকার গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে নৈশ কার্ফু জারি করেছিল। সপ্তাহান্তের কার্ফু জারি করা হয়েছিল নতুন বছরের ৭ জানুয়ারি থেকে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্ণাটক সরকার। এর আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সপ্তাহান্তের কার্ফু ১৯ জানুয়ারি তুলে নেওয়ার কথা ছিল। 


উল্লেখ্য, বাণিজ্য ও ব্যবসায়ী মহল ধারাবাহিকভাবে সপ্তাহান্তের কা়র্ফু তুলে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছিলেন। কারণ, এ ধরণের বিধিনিষেধে তাঁদের জীবনজীবিকা ব্যহত হচ্ছে। এই ধারাবাহিক চাপের মুখে সরকার সপ্তাহান্তের কার্ফু তুলে নিল বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেই হোটেল ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁরা নৈশ কার্ফু শুরুর  সময় রাতে আরও এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন।  ১০ টার পরিবর্তে রাত ১১ টা থেকে নৈশ কার্ফু জারি হোক, এমনই দাবি করেছিলেন তাঁরা। 


এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার কর্ণাটকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৭৫৪। রাজ্যের পজিটিভিটি হার ১৮.৪৮ শতাংশ। ওই সময় পর্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ২৯।