Financial Planning: অবসরের জন্য টাকা জমিয়েও হচ্ছে সমস্যা। ভুল পথে বিনিয়োগ করার মাশুল চোকাতে হচ্ছে আমানতকারীদের। তাই রিটায়ারমেন্টের লগ্নির কথা মাথায় রেখে মেনে চলুন এই পরামর্শ। না হলে ভুগতে হবে।


পরিকল্পনার করে বিনিয়োগ করুন
পরিকল্পনা ছাড়া বিনিয়োগ করা উচিত নয়।বিনিয়োগের জন্য একটি ভাল প্ল্যানিং থাকতে হবে।আপনার বিনিয়োগের লক্ষ্যগুলি স্থির করুন। সেগুলিতে পৌঁছনোর জন্য সঠিক পরিকল্পনা করুন।আর্থিক লক্ষ্য পরিকল্পনা করার সময় অবশ্যই আর্থিক পরামর্শদাতা বা কিছু ভাল তথ্য থেকে পরামর্শ নিন।


এক জায়গায় টাকা রাখছেন ? সব টাকা এক জায়গায় রাখবেন না।আপনার টাকা বিভিন্ন ফান্ডে ছড়িয়ে রাখুন। এটি ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার একটি স্মার্ট উপায়।ডাইভারসিফিকেশন মানে এক জায়গায় বিনিয়োগ না করে অনেক জায়গায় অল্প টাকা বিনিয়োগ করুন।এক জায়গায় সমস্যা হলে অন্য জায়গা থেকে লাভ পাবেন।


আবেগে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না: বিনিয়োগ করার সময় একটি বাস্তব পন্থা অবলম্বন করুন।আপনার বিনিয়োগের পোর্টফোলিও তৈরির সময় আবেগে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না।আপনি যদি কোথাও থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হন, তাহলে এমন জায়গায় আপনার টাকা আটকে রাখবেন না। এমনটা করলে আরও ক্ষতি হতে পারে। তাই আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেপে পা ফেলুন।


বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখুন
বিনিয়োগের পোর্টফোলিও তৈরি করুন। নিয়মিত আপনার আর্থিক বিনিয়োগের পর্যালোচনা করুন। বিশ্বের অর্থনীতির পরিবর্তনের প্রভাব আপনার বিনিয়োগের ওপরও পড়তে পারে। তাই এই ধরনের পরিবর্তনগুলির উপর নজর রাখুন।


ধৈর্য্য ধরতে হবে : বিনিয়োগ করার সময় আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে।অর্থ বিনিয়োগ করেই টাকা পাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এটি ধীরে ধীরে বাড়তে দেখুন। কোনওভাবেই ভাল জায়গায় বিনিয়োগ করার পর লগ্নি নিয়ে উত্তেজিত বা আতঙ্কিত হবেন না।ক্ষতি হলে ঘাবড়ে যাবেন না। ধৈর্য ধরুন।নিজেকে আরও ধৈর্যশীল বিনিয়োগকারী গড়ে তুলুন। তাতে অবসরকালে আপনার হাতেই বড় অঙ্কের টাকা আসবে।