নয়াদিল্লি: সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে ২৩টি বিল লোকসভায় পেশ করবে মোদি সরকার। এর মধ্যে ১৭টি নতুন বিল রয়েছে।
এই তালিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য -- ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি বিধি। পুরনো অর্ডিন্যান্স বদলে এই নতুন বিধি কার্যকর করতে ইচ্ছুক সরকার। এতে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটীর শিল্পের জন্য কিছু আর্থিক প্রকল্প রয়েছে। যাতে বাণিজ্যিক ঋণপ্রদানকারীরা ধুঁকতে থাকা সংস্থাকে সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সাহায্য করতে পারে।
এর পাশাপাশি, আসন্ন অধিবেশনে ডিপোজিট ইনস্য়ুরেন্স বিল পেশ করার কথা কেন্দ্রের। এখানে বিমার অর্থ বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, নতুন যে ১৭টি বিল পেশের প্রস্তাব রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে লিমিটেড লায়াবিলিটি পার্টনারশিপ অ্যাক্ট, বিদ্যুৎ আইন, কয়লা ও খনন এলাকা (অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন) আইন প্রমুখ।
তবে, বহু-প্রতিক্ষিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল সম্ভবত এবার পেশ করা হবে না। কারণ, তা লিস্টিংয়ে জায়গা পায়নি। এর আগে এই বিল বাজেট অধিবেশনের তালিকায় ছিল। কিন্তু, কোভিডকালে, অধিবেশনের সময় কমে যাওয়ায় তা হয়ে ওঠেনি।
সরকারি সূত্রের দাবি, এই বিলের কয়েকটি বিষয় নিয়ে এখনও পর্যালোচনা চলছে। এই বিলে দেশে সব ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। চলবে ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত। লোকসভার স্পিকার ওম বিরলার দফতর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবারের অধিবেশনে উভয় কক্ষই ১৯ দিন বসবে। সকাল ১১টা থেকে সভা শুরু হবে। শেষ হবে সন্ধে ৬টায়। মাঝে এক-ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থাকবে।
করোনা আবহে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। যেমন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করার জন্য সকল সদস্যকে বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর টেস্ট নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। বিশেষ করে, যাঁদের ভ্যাকসিন নেওয়া হয়নি।
এদিকে, সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরা হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে বিরোধীরা। এজন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব বিরোধী দলকে নিয়ে এককাট্টা হয়ে লড়াই করা হবে। পথে নামলেই নতুন নেতা তৈরি হবে।