নয়ডা:'অপারেশন ডিনামাইট'-এর (operation dynamite) মোক্ষম সময় মেরেকেটে কয়েক সেকেন্ড। তার মধ্য়েই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার কথা নয়ডার জোড়া মিনারের (twin tower)। কিন্তু সেই অভিযান ঘিরে রবিবার সকাল থেকে তুঙ্গে নানা তৎপরতা। গাড়ি চলাচলের রুট (traffic route) বদলানো থেকে বিমানের (flight path) নির্ধারিত পথ, সবটাই বদলে রবিবাসরীয় সকালে। 


শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি...
জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড, গার্ডরেল। নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে যেতে হলে, গুগল আপনাকে ঘুরপথের কোনও বিকল্প রুট দেখিয়ে দেবে। তবে সেও আর কিছুক্ষণ। কারণ, প্রশাসন সূত্রে খবর, দুপুর দুটো থেকে সেই যাতায়াতটুকুও বন্ধ করে দেওয়া হবে। যে যেখানে থাকবে, তাকে সেখানেই দাঁড়িয়েই যেতে হবে। লাগোয়া এক্সপ্রেসওয়েও কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সুপারটেক টুইন টাওয়ারের আশপাশে যে কটি আবাসন রয়েছে, সেগুলিও খালি করে দেওয়া হচ্ছে। সকাল সাতটার মধ্যে আশপাশের এলাকা খালি করে দেওয়ার কথা। বিস্ফোরণের চাপে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই জন্যই আগাম সাবধানতা। পাশাপাশি একটি 'ডিক্লারেশন ফর্ম'-এও সই করতে হয়েছে স্থানীয়দের। তাতে লেখা,বাসিন্দাদের প্রত্যেকে বাড়ির সমস্ত বৈদ্য়ুতিন সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। গ্যাসের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে আরও কিছু নিয়মবিধি মানার স্বীকারোক্তি। এই গোটা পর্ব শেষ হলে নিরাপত্তারক্ষীদের সব কটি ফ্ল্যাট ঘুরে দেখতে হবে কেউ কোথাও রয়ে গেলেন কিনা। দুপুর ১২টার মধ্যে তাঁদের এই পর্ব শেষ করতে হবে। তার পর তাঁরাও বেরিয়ে আসবেন।



কী চলছে নয়ডায়?





  • গাড়ির রুট বদল

  • দুপুর ২টো থেকে সাময়িক ভাবে সংলগ্ন এলাকায় বন্ধ থাকবে গাড়ি চলাচল

  • লাগোয়া এলাকার আবাসন থেকে সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের

  • ডিক্লারেশন ফর্মে সই করছেন বাসিন্দারা

  • শর্ত মেনেছেন কিনা, সেই মর্মে ফর্মে সই করে ফ্ল্যাটের দরজায় লাগাতে হবে বাসিন্দাদের

  • দুপুর ১২টার মধ্যে বেরিয়ে আসবেন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা

  • বিস্ফোরণের অভিঘাতে ধুলোর ঝড় উঠতে পারে

  • ধুলোর ঝড় নিয়ন্ত্রণে আনতে তৈরি দমকল



কী হতে পারে?
'অপারেশন ডিনামাইট'-এর দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তাঁদের অঙ্কের হিসেব মেনে এই অভিযান হলে যমজ টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষের একচুলও এদিক-ওদিক ছড়িয়ে পড়ার কথা নয়। সোজাসুজি ভেঙে পড়াই উচিত টুইন টাওয়ারের। কিন্তু কোনও কারণে তেমন না হলে আশপাশের এলাকাবাসীর জন্য বিপদের ষোলো আনা সম্ভাবনা। তাই কোনও ত্রুটি রাখতে চান না তাঁরা। বিস্ফোরণের পরই যে ধুলোর ঝড় উঠবে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে লাগোয়া আবাসন এমারেল্ড সোসাইটি থেকে জলের ফোয়ারা ছেটাবে দমকল। শুধু মানুষ নয়, পোষ্যদের নিয়েও চিন্তায় বাসিন্দারা। কারণ, যখন এই জোড়া টাওয়ার মাটিতে মিশবে, তখন তার আওয়াজ দেড়শো ডেসিবেল ছাপিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাই তাদের নিয়েও লাগোয়া আবাসন ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন স্থানীয়রা।
সব মিলিয়ে চূড়ান্ত মুহূর্তের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। 


আরও পড়ুন:অপারেশন ডিনামাইট! নয়ডার বিতর্কিত টুইন টাওয়ার ধ্বংসের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু