মুম্বই: তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানির আগে মহারাষ্ট্রে ফের বাড়ল চিন্তা। মনখুরদ এলাকায় একটি শিশুদের হোমে অতিমারী সৃষ্টিকারী ভাইরাসে আক্রান্ত হল ১৮ জন শিশু। বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফে জানান হয়েছে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের সকলকে ভাসি নাকা এলাকার একটি আইসোলেটেড হোমে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।   


বিএমসি জানায়, "মনখুরদের একটি চিল্ড্রেনস হোমে ১৮ জন শিশু করোনা পজিটিভ হয়েছে। সব বাচ্চাদের ভাসি নাকার একটি কোভিড সেন্টারের আইসোলেশন ওয়ার্ডে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"   


রবিবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যদফতরের তরফে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, সেই অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৬৬ জন। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৩০১ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সে রাজ্যে এখন অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৪৪ জন। দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা ছিল ১৩১ জন। সে রাজ্যে করোনা কোপে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৫৭ জনের।   


সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন যে করোনা তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় শিশুদের ক্ষতি হতে পারে বলে যতই পূর্বাভাস দেওয়া হোক না কেন, খারাপ প্রভাব ফেলবে না। অভিভাবকদেরও চিন্তা করতে বারণ করেছেন তিনি। বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন, ভারত ক্রমশ সংক্রমণের এমন একটা পর্যায়ে প্রবেশ করছে যাকে এই ভাইরাসের একপ্রকার ‘শেষের শুরু’ বলা যায়। ইংরাজিতে ভাইরাসের এই পর্যায়কে ‘এন্ডেমিক স্টেজ’ বলে।     


এদিকে, রবিবার দেশে সামান্য কমল করোনা সংক্রমণ। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ফের নামল পাঁচশোর নীচে। পাশাপাশি, উদ্বেগ বাড়িয়ে আজও কেরলেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের ওপরে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৮৩ জন ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু কেরলেই একদিনে সংক্রমিত ৩১ হাজার ২৬৫ জন। দেশে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬০।