Maharashtra Bandh:  মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমবিএ)-র শরিক দল শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে হিংসার প্রতিবাদে আজ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। গত ৩ অক্টোবর লখিমপুরে চার কৃষক সহ আট জনের মৃত্যু হয়েছিল। মহা বিকাশ আঘাড়ির পক্ষ থেকে এই  ধর্মঘটে সামিল হওয়ার জন্য জনগনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। শিবসেনার রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় রাউত শনিবার জানিয়েছেন, তাঁদের দল ধর্মঘটে পূর্ণ শক্তিতে অংশগ্রহণ করবে।


জোটের শরিক এনসিপি মুখপাত্র নবাব মালিক বলেছেন, শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা মানুষেক কাছে যাচ্ছেন এবং তাঁদের ধর্মঘটে সামিল হতে এবং কৃষকদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে আর্জি জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার তিন আইন তৈরি করে কৃষি উৎপাদন লুঠের ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। আর তাদের সরকারের মন্ত্রীদের আত্মীয়রা কৃষকদের খুন করছে। আমাদের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।


নবাব মালিক বলেছেন, এমবিএ-র দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর মন্ত্রীর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 


এরইমধ্যে মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে বলেছেন, তাঁদের দলের নেতা-কর্মীরা রাজভবনের বাইরো বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য মৌনব্রত পালন করবে। পাটোলে বলেছেন, কংগ্রেসের সমস্ত নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে এই ধর্মঘটে সামিল হওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।


শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, তাঁদের দল পূর্ণ শক্তিতে ধর্মঘটে সামিল হবে। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রের কৃষক-বিরোধী নীতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন রয়েছে।


কিষাণ সভাও এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২১ জেলায় তাদের নেতাকর্মীরা সমমনোভাবাপন্ন সংগঠনগুলির সঙ্গে ধর্মঘট সফল করতে সমন্বয় গড়ে তুলে কাজ করবে।


মহারাষ্ট্রের ফেডারেশন অফ রিটেল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন  এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছেন, আঠারো মাসের লকডাউনের পর ব্যবসা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। এরমধ্যে ধর্মঘটে তাদের আয়ে কোপ পড়বে।