মুম্বই: চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। মহারাষ্ট্রের ছবিটা ফের আশঙ্কাজনক। রাজ্যের একাধিক জায়গায় জারি হয়েছে লকডাউন।


কয়েকদিন ধরেই মহারাষ্ট্রে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নতুন করে মহারাষ্ট্রে ২৫,৮৩৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩,৯৬,৩৪০ জন। এর মধ্যে ৫৩,১৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন জারি হয়েছে। তবে তার পরেও ফের আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড গড়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্য জুড়ে মোট ১,৬৬,৩৫৩টি করোনার অ্যাকটিভ কেস রয়েছে। বাণিজ্যনগরী মুম্বইতেই কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১৫,৪১০ জন। পুনেতে ৩২,৩৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নাগপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ২১,৪৯৬।


মহারাষ্ট্রে প্রত্যেক দিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে সারা দেশেই আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। সুস্থতার হারের চেয়ে বেশি হচ্ছে দৈনিক সংক্রমণের হার। করোনার নতুন স্ট্রেনের জেরে সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে ভারতে। মহারাষ্ট্রের ছবিটা উদ্বেগজনক। অনেক জায়গায় জমায়েত এড়াতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নাগপুরে ২১ মার্চ অবধি পুরোপুরি লকডাউন জারি থাকছে। প্রশাসনের তরফে মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলির পাশাপাশি জেলাগুলিতেও লকডাউন, রাতে কার্ফু জারি করা হচ্ছে৷ নাইট কার্ফু জারি রাখা হচ্ছে রাত ১১ থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত।


প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাত ১০ টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে হোটেল, রেস্তোরাঁ, পাব। সব ধরনের জমায়েত বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। সব ধরনের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও জারি করা হয়েছে।


পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গেও নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। ৯ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৩ হাজারেরও নীচে। সেই মহারাষ্ট্রেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২৫ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।