মুম্বই: ফোন তুলে আর ‘হ্যালো’ (Hello) বলা যাবে না। তার জায়গায় বলতে হবে ‘বন্দে মাতরম’ (Vande Mataram)। স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day 2022) ৭৫ বছর পূর্তিতে নয়া ফরমান মহারাষ্ট্র সরকারের। রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তা, আমলা, আধিকারিক এবং সরকারি ভবনে কর্মরত কর্মীদের জন্য এমন নির্দেশ জারি করা হল। মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারে সংস্কৃতি বিষয়ক দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার (Sudhir Mungantiwar)।  স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে, ১৪ অগাস্ট এমন নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 


ফোন ধরে ‘হ্যালো’ বলতে পারবেন না, মহারাষ্ট্রের আমলা-কর্তারা


রবিবার মৌখিক ভাবে ফোন তুলে ‘হ্যালো’র বদলে ‘বন্দে মাতরম’ বলার নির্দেশ জারি করেন সুধীর। শীঘ্রই এই মর্মে সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘হ্যালো একটি ইংরেজি শব্দ। সেটির ব্যবহার ত্যাগ করা প্রয়োজন। বন্দে মাতরম নেহাত কোনও শব্দবন্ধ নয়। প্রত্যেক ভারতীয় এর আবেগ অনুভব করেন।’’


‘হ্যালো’র জায়গায় ‘বন্দে মাতরম’ বলাচালু করা নিয়ে সুধীরের যুক্তি, ‘‘স্বাধীনতার ৭৬তম বছরে পা রাখতে চলেছি আমরা। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছি। তাই আমি চাই হ্যালোর বদলে সকলে ফোন ধরে বন্দে মাতরম বলুন।’’


আরও পড়ুন: Independence Day 2022: ২০০ কোটি টিকা, নারীর ভোটাধিকার, প্রাক-স্বাধীনতা ভাষণে সাফল্যের খতিয়ান দিলেন রাষ্ট্রপতি


রবিবারই নয়া মন্ত্রিসভার ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তাঁর সরকারে সংস্কৃতি দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন সুধীর। পাশাপাশি এ দিন বনমন্ত্রীও কার হয় তাঁকে। আর তার পরই ফোনে ‘বন্দে মাতরম’ বলার নিদান তাঁর। 


মহারাষ্ট্রের নয়া সরকারে একনাথ মুখ্যমন্ত্রী হলেও, আসলে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বলে লাগাতার অভিযোগ সামনে আসছে। এ দিন মন্ত্রিসভার ঘোষণা হওয়ার পরও ফড়ণবীসের দাপট চোখে পড়ার মতো। স্বরাষ্ট্র, অর্থ। দুই গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বই ফড়ণবীসের হাতে উঠেছে। পাশাপাশি উপ মুখ্যমন্ত্রী তিনি। শিন্ডে নগরোন্নয়ন দফতর নিজের হাতে রেখেছেন, উদ্ধব ঠাকরে সরকারেও ওই দফতরেরই মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এছাড়াও পরিকল্পনা বিভাগের দায়িত্ব সামলাবেন ফড়ণবীস। বিজেপি-র রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাটিল রাজস্ব বিভাগের দায়িত্বে। 


মহারাষ্ট্রে শিন্ডে সরকারের নয়া মন্ত্রিসভার ঘোষণা


এ ছাড়াও, মহারাষ্ট্র রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিলের হাতে উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষা দফতর তুলে দেওয়া হয়েছে। পরিষদীয় মন্ত্রীও তিনি। শিন্ডের দলের দীপক কেশরকর স্কুলশিক্ষা দফতরের দায়িত্ব পেলেন। আবদুল সাত্তার পেয়েছেন কৃষি দফতর। 


শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ভাঙিয়ে এনে মাস দেড়েক আগে উদ্ধব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকার ভেঙে সরকার গঠন করেন শিন্ডে-ফড়ণবীস জুটি।