উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, মুম্বই : মসনদে এখন একনাথ শিণ্ডে।  রবিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় স্পিকার বা অধ্যক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এতে বিজেপি-র প্রার্থী রাহুল নাওয়েকর। বিপরীতে শিবসেনার বিধায়ক রঞ্জন সালভে।


একনাথ শিণ্ডেকে বহিষ্কার
বিধানসভায় আস্থা ভোটের আগেই শিবসেনা থেকে একনাথ শিণ্ডেকে বহিষ্কার করলেন উদ্ধব ঠাকরে। দলবিরোধী কাজের জন্যেই এই সিদ্ধান্ত, মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন উদ্ধব। যদিও শিণ্ডে শিবিরের দাবি, দলে সংখ্যালঘু উদ্ধব। ফলে তিনি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।


সঞ্জয় রাউতের চাঞ্চল্যকর দাবি
এদিকে, আজই বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে গোয়া থেকে মুম্বই ফিরছেন শিণ্ডে। সন্ধেয় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। সূত্রের খবর, আরও ১৪ জন বিধায়ক শিণ্ডে শিবিরে যোগ দিতে পারেন। এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। তিনি দাবি করেন, ' আমাকেও গুয়াহাটি যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।'  তাঁর দাবি, বালাসাহেব ঠাকরের আদর্শে বিশ্বাসী হওয়ায় শিণ্ডে শিবিরের ডাক উপেক্ষা করেন তিনি। ' সত্য সঙ্গে থাকলে, ভয় কীসের?' মন্তব্য সঞ্জয় রাউতের।


 ৩ জুলাই স্পিকার নির্বাচন
শুক্রবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের পরীক্ষা পিছোতে সায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শিণ্ডে সরকারের শক্তিপরীক্ষা রুখতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল উদ্ধব শিবির। কিন্তু সেই আবেদনে সায় মেলেনি। ১১ জুলাই হবে পরবর্তী শুনানি, জানায় সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে, একনাথ শিণ্ডের শক্তিপরীক্ষা সম্ভবত আগামী ৪ জুলাই। শিণ্ডে শিবির দাবি করেছে, তাদের ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন তাদের সঙ্গে। ফলে তাঁরা সহজেই জয় পাবেন, তেমন সম্ভাবনাই দেখছে রাজনৈতিক মহল। 
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট আসন ২৮৮টি। ম্যাজিক ফিগার ১৪৪। তাই শিণ্ডে শিবির এগিয়ে থাকছে। ৩ জুলাই হবে স্পিকার নির্বাচন। এমনটাই সূত্রের খবর। 

শিবসেনা বিধায়ক সুনীল প্রভু সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে জানান, বিদ্রোহী বিধায়কদের সাসপেন্ড করার আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, তাঁরা যাতে বিধানসভায় ঢুকতে না পারেন, তার নির্দেশ দেওয়া হোক।  কিন্তু সেই আবেদনে সায় দেয়নি আদালত। 
এদিকে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর একনাথ শিণ্ডে গতকাল রাতেই গোয়া পৌঁছোন। তাঁকে স্বাগত জানান বিদ্রোহী বিধায়করা।  


এরইমধ্যে NCP প্রধান শরদ পাওয়ারকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০২০ সালে NCP প্রধানের নির্বাচনী হলফনামার প্রেক্ষিতে আয়কর দফতর এই নোটিস পাঠিয়েছে।