মুম্বই : লিখিত ও শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও পুলিশের চাকরি জোটেনি। কারণ, মেডিক্যাল টেস্ট অনুযায়ী, তিনি 'পুরুষ'। আর এই তথ্য সামনে আসতেই চাকরি নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয় মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক মহিলার । যদিও এই সংক্রান্ত মামলায় এবার মহারাষ্ট্র সরকারকে দুই মাসের সময় বেঁধে দিল বম্বে হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে রাজ্য পুলিশ বিভাগে ওই মহিলার নিয়োগ চূড়ান্ত করে ফেলতে বলা হয়েছে। 


ঘটনাটা কী ?


নাসিক রুরাল পুলিশ রিক্রুটমেন্ট ২০১৮-র পরীক্ষায় এসসি ক্যাটেগরির জন্য আবেদন করেছিলেন বছর ২৩-এর এক তরুণী। লিখিত ও শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। কিন্তু, এরপর একটি মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। তাতে দেখা যায়, ওই মহিলার জরায়ু বা ডিম্বাশয় নেই। অপর একটি পরীক্ষায় দেখা যায়, তাঁর পুরুষ ও নারী- দুই ক্রোমোজমই রয়েছে। সেই অনুযায়ী, তাঁকে মেডিক্যাল টেস্টে 'পুরুষ' ঘোষণা করা হয়।


এরপর ওই মহিলা বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে তিনি আবেদনে জানান, শারীরবৃত্তীয় এই অবস্থা তিনি ওয়াকিবহাল নন। জন্ম থেকেই তিনি মহিলা হিসেবে জীবনযাপন করেছেন। এমনকী তাঁর সমস্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র ও ব্যক্তিগত নথিতেও মহিলা বলে উল্লেখ আছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে ক্যারিওটাইপিং ক্রোমোজম পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর নিয়োগ বাতিল করা যেন না হয়।


এই সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল আশুতোষ কুম্ভকোনি আদালতে জানান, এই বিষয়টি রাজ্য সরকার সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে চাইছে। ওই মহিলাকে পুলিশ বিভাগে নিয়োগের কথা ভাবছে। তবে, "non-constabulary post"-এর জন্য। তিনি আরও জানান, স্পেশাল আইজি (নাসিক) রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের কাছে একটি সুপারিশ জমা করবেন।


তাঁর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরে ও মাধব জামদার, মহারাষ্ট্র সরকারকে দুই মাসের মধ্যে রাজ্য পুলিশ বিভাগে ওই মহিলার নিয়োগ চূড়ান্ত করে ফেলতে বলে।