প্রয়াগরাজ : শিবরাত্রি (Shivratri) উপলক্ষে প্রয়াগরাজে (Prayagraj) এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ভক্ত গঙ্গাস্নান করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হিসাব বলে জানান আধিকারিকরা। তাছাড়া সকাল থেকে বহু শিব-ভক্ত দুধ ও জল নিয়ে অভিষেকে সামিল হন। যমুনার তীরে দারাগঞ্জের নাগবাসুকী ও মনকামেশ্বর মন্দিরে হয় অভিষেক-পর্ব। এমনই জানিয়েছেন মাঘ মেলা কর্তৃপক্ষ।


মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে সেখানে ছয়টি ঘাটে স্নানের বন্দোবস্ত করা হয়। এই উপলক্ষে ভক্তদের জন্য সোমেশ্বর মহাদেব, মনকামেশ্বর ও নাগ বাসুকী মন্দিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়। মাঘ মেলা কর্তৃপক্ষের তরফে এক আধিকারিক জানান, মেলা চত্বরে প্রায় ৬৫০ শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়। কিছু কিছু জায়গায় প্রয়োজন মতো মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করে পুর নিগম। 


এই দিনটিতে দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়েছে। এর মধ্যে আছে শিবপূজা, যজ্ঞানুষ্ঠান, শিবের প্রীতর্থে পানি ও দুধ দান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অগণিত ভক্ত এইদিন শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, বেলপাতা, ফুল দিয়ে পুজো করেছেন।


মহাশিবরাত্রি হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবাদিদেব মহাদেব ‘শিবের মহা রাত্রি’। অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত। পুণ্যলাভের আশায় হিন্দুরা মন্দিরে মন্দিরে শিবপূজার আয়োজন করে। উৎসবটি শিব চতুর্দশী হিসেবেও পরিচিত। আর এই শুভ লগ্নে দেশবাসীকে শিবরাত্রির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।


প্রধানমন্ত্রী এদিন টুইটারে লেখেন, "মহাশিবরাত্রির শুভ উপলক্ষ্যে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা। দেবতাদের ভগবান মহাদেব সকলকে সাহায্য করুন, কল্যাণ করুন। ওম নমঃ শিবায়।"       


প্রসঙ্গত, দেশের অন্যতম উৎসব হিসেবে গণ্য হয় শিবরাত্রি। বিশেষ এই দিনটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে 'হর হর মহাদেব' স্লোগান শোনা যায়। মূলত ফ্রেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসেই শিবরাত্রির উৎসব হয়ে থাকে। সেইমতো এবারও ১ মার্চ পড়ে বিশেষ এই দিনটি।