নয়াদিল্লি: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর জন্য ভারতে তৈরি সর্দি-কাশির সিরাপের (Maiden Cough Syrup) দিকে আঙুল উঠেছে। সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তাতে আন্তর্জাতিক মহলে যেমন মাথা নত হয়েছে, তেমনই প্রশ্ন উঠছে সর্দি-কাশির সিরাপ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ঘিরেও। সেই আবহে জানা গেল, সিরাপ প্রস্তুতকারী একটি সংস্থা ছাড়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মধ্যে দিয়েই যায়নি। ব্যবহারের আগে ওই সিরাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি বা প্রমাণই দেখাতে পারেনি তারা।


ভারতে তৈরি সর্দি-কাশির সিরাপ তৈরিতে অনিময়ের অভিযোগ


গাম্বিয়ায় (Gambia) শিশুমৃত্যুর (Children Death) ঘটনায় ভারতে তৈরি তিনটি সিরাপ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে ‘হু’। ওই সিরাপ তৈরি করেছে যে সংস্থা, সেই মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস-এর কারখানায় সিরাপ তৈরিতে অনিয়ম হয়েছে বলে জানাল হরিয়ানা সরকার। হরিয়ানার সোনিপতে ওই সংস্থার কারখানা রয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “হু যে তিনটি ওষুধ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে, সোনিপতের ওই কারখানা থেকে সিরাপের নমুনা কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখনও তার রিপোর্ট আসেনি। সেটি হাতে এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। তবে কেন্দ্র এবং হরিয়ানা সরকারের তরফে যৌথ তদন্তে সিরাপ তৈরিতে ১২টি অনিয়ম ধরা পড়েছে।”


আরও পড়ুন: Patna Accident: শাহের সভা থেকে ফেরার পথ ধাক্কা বাইককে, চোখের সামনে পুড়ে মৃত ১, হত আরও ২, দেখেও সাহায্যে গেল না পুলিশ


অনিল ভিজ আরও বলেন, “তাই আপাতত ওই সংস্থার উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। নোটিস দেওয়া হয়েছে।” হরিয়ানা সরকার সূত্রে খবর, ওই সংস্থা সিরাপ তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামের লগবুক দেখাতে পারেনি। সিরাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কোনও নথি বা প্রমাণপত্রও দেখাতে পারেনি তারা।


গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যুর জন্য ভারতে তৈরি সংস্থার সিরাপের দিকেই আঙুল উঠছে


এর আগে ‘হু’ জানায়, ওই সংস্থার তৈরি সিরাপে ডায়েথাইলিন গ্রাইকল, ইথাইলিন গ্রাইকলের মতো উপাদান অত্যধিক মাত্রায় পাওয়া গিয়েছে, যা বিষের সমান এবং তা থেকে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাম্বিয়া পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে শিশুদের মৃত্যুতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারই উল্লেখ রয়েছে। সেই নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতির মধ্যেই হরিয়ানার ওই সংস্থার উৎপাদন বন্ধ করা হল। হরিয়ানার রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলারের তরফে ওই সংস্থাকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে শোকজের জবাব দিতে। প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারলে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।