নয়া দিল্লি : "UPA আবার কী ? UPA বলে কিছু নেই।"  NCP সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে বেরনোর পর এই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


নিজের বাসভবনে মমতার সঙ্গে বৈঠকের ছবি ট্যুইট করেছেন পাওয়ারও। ট্যুইটারে পাওয়ার লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার মুম্বইয়ের বাসভবনে দেখা করে আনন্দিত। আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেছি। যৌথ প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করা, গণতন্ত্র রক্ষা ও মানুষের উন্নতি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমরা সহমত হয়েছি।  


বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতাও। যে "ফ্যাসিবাদ চলছে", তার বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী বিকল্পের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, যে ফ্যাসিবাদ চলছে তার বিরুদ্ধে কেউই লড়াই করছে না। কিন্তু, শক্তিশালী বিকল্পের প্রয়োজন রয়েছে। শরদজি অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা। আমি এনিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম। শরদজি যা বলেছেন তাতে আমি সহমত। UPA বলে কিছু নেই ।


এদিনই দুপুর ১ টায় বিদ্বজ্জনেদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে কে হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, ‘পরিস্থিতি ঠিক করবে কে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন, বিজেপিকে (BJP) বোল্ড আউট করাই প্রথম লক্ষ্য, খেলা হবে।’


 





এদিন কার্যত বিজেপিকে নিশানা করে মমতার বক্তব্য, 'চরম দক্ষিণপন্থীদের হাতে আক্রান্ত দেশ। দেশকে বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে আমাদের একজোট হয়ে লড়তে হবে।' পাশাপাশি কংগ্রেস (Congress) প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে না। আমরা বিজেপিকে জিততে দিতে পারি না।’


এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বৈঠকের আগে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন এনসিপি (NCB) নেতা নবাব মালিক (Nawab Malik)। কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি-বিরোধী (BJP) জোট সম্ভব নয়।  জল্পনা উসকে নবাব মালিক মন্তব্য করেন, মেঘালয়ে কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল (TMC) গোয়াতেও গিয়েছে। সব রাজনৈতিক দলেরই সংগঠন বিস্তারের অধিকার রয়েছে। তবে আমরা মনে করি, কংগ্রেসকে বাইরে রেখে বিজেপি-বিরোধী কোনও জোট সম্ভব নয়। আমাদের নেতা শরদ পাওয়ার একাধিকবার এই কথা বলেছেন।