ভাইজাগ : অন্ধ্রপ্রদেশের মালকাপুরমে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের প্লান্টে ভয়াবহ আগুন। ভাইজাগের অদূরে অবস্থিত তেল কোম্পানিটির প্লান্টে আগুন লাগার পরই ঘটনাস্থলে দৌড়ে গিয়েছে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। পৌঁছয় নৌসেনার একটি দলও। জোরকদমে কাজ চালিয়ে তারা আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পাশাপাশি স্বস্তির খবর, আগুনের ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই।
মঙ্গলবার দুপুরে তেল কোম্পানিটির প্লান্টের অপরিশোধিত তেল ছাঁকার জায়গায় হঠাৎই আগুন ধরে যায়। আগুনের জেরে বিস্ফোরণেরও শব্দ পাওয়া গিয়েছে। গোটা এলাকা ভরে গিয়েছে ঘন কালো ধোঁয়ায়। যদিও দমকল, পুলিশ ও সেনার তৎপরতায় পরিস্থিতি দ্রুত আয়ত্ত্বে আনা সম্ভব হয়। ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনই জানা যায়নি।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে স্থানীয় ডিএসপি ঐশ্বর্য রস্তোগি জানিয়েছেন, 'প্লান্টের ৩ নম্বর ইউনিটে আগুন লাগে। প্রথমে ৫টি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে আরও ইঞ্জিন পৌঁছে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ খতিয়ে দেখা হবে।'
হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও কেউ হতাহত না হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়। এইচপিসিএলের পক্ষ থেকে ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের বিকাশ সংশোধনাগারে ২৫ মে দুপুর ৩ টে নাগাদ হঠাৎ আগুন লেগে যায়। যার পরই যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা ও আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া দ্রুত চালু হয়ে গিয়েছিল। যথেষ্ট গুরুতর আগুন লাগলেও দ্রুতই তা আয়ত্ত্বে এসেছে। গোটা ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
ওড়িশা, বাংলার মতোই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে জনজীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা অন্ধ্রপ্রদেশেও। তার মাঝে করোনা যুদ্ধের সঙ্গে লড়তে চলছে লকডাউন। এসবের মাঝেই এই দুর্ঘটনা। যদিও কেউ হতাহত না হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলচেন সকলেই। পাশাপাশি লকডাউনের জেরে প্লান্টে সাধারণ সময়ের থেকে কম লোক থাকাতেও এক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে। যারা কর্মরত ছিলেন, তাদের তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিয়ে গিয়ে আগুন আয়ত্ত্বে এনে ফেলা গিয়েছে দ্রুত।