চণ্ডীগড়: সরাসরি রাজ্যের কাছে পাঠানো যাবে না ভ্যাকসিন, অফিশিয়াল পলিসি অনুযায়ী তারা শুধুমাত্র ভারত সরকারকেই টিকা দেবে। পঞ্জাব সরকারকে এমনই উত্তর দিয়েছে মর্ডানা। ভ্যাকসিন ভোগান্তির জেরে ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন, মর্ডানা ও স্পুটনিক ভি-র কাছে সরাসরি রাজ্যের জন্য ভ্যাকসিন কেনার দাবি পাঠিয়েছিল পঞ্জাব সরকার। কিন্তু অমরিন্দর সিংহের সরকারকে চমকে দিয়ে সরাসরি টিকা পাঠানোর বিষয়টি নাকচ করে তাদের উত্তর পাঠিয়েছে মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা মর্ডানা। বাকি অন্য কোনও সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও তাদের কাছে উত্তর এসে পৌঁছয়নি বলেই জানাচ্ছে পঞ্জাব সরকার।


দেশের প্রথম থেকেই সমস্ত রাজ্য়ের ভ্যাকসিন বন্টন কেন্দ্রের মাধ্যমে হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই নিয়ম বদলেছে। কেন্দ্র নিজে থেকে যেমন ভারতে প্রস্তুত দুটি ভ্যাকসিনের বাইরে অন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ভ্যাকসিন দেশে আনানোর চেষ্টা করছে, তেমনই সব রাজ্যকেও ছাড় দেওয়া হয়েছে সেই পতে হাঁটার। টিকা না পেয়ে কার্যত রোজই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে একাধিক রাজ্য। এই অবস্থায় যদিও তারা গ্লোবাল টেন্ডার ডেকে ভ্যাকসিন ভোগান্তি দূর করার পথেও হাঁটতে চলেছে। যে রাস্তায় রয়েছে পঞ্জাবও।


কিন্তু পঞ্জাব সরকারের কাছে মর্ডানার যে উত্তর এসে পৌঁছেছে তাতে অবশ্য চিন্তার মেঘ বাড়ছে। কারণ অফিশিয়াল পলিসির জেরে যদি সরাসরি কোনও রাজ্যের কাছে ভ্যাকসিন না পাঠানো যায়, তাহলে গোটা প্রক্রিয়াটাই ফের কেঁচে গন্ডুষ করতে হবে। আর যার জেরে ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়বে সব রাজ্যের আলাদা করে টিকা নেওয়ার প্রক্রিয়া। এই অবস্থায় তাই কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে আলাদা করে ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা বললেই শুধু হবে না, তাদেরকে বিভিন্ন টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গেও এই ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে হবে।


এদিকে পঞ্জাবের টিকাকরণের কাজ সামলানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার বিকাশ গর্গ জানিয়েছেন, গত তিনদিন ধরে ভ্যাকসিন না থাকার জেরে একাধিক জায়গায় ৪৫ অনূর্ধ্বদের টিকাকরণের কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে পঞ্জাব সরকার।