আমদাবাদ : বিজেপি শাসিত গুজরাতে ( Gujrat Bridge Collapse ) মোদির ( Narendra Modi )  সফর চলাকালীন মোরবিতে ( Morbi ) ভেঙে পড়ে কেবল ব্রিজ। মৃত অন্তত ১৩৪, জখম শতাধিক। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে  ১৭৭ টি দেহ। মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কেন ঘটে গেল এমন মর্মান্তিক ঘটনা ? বিরোধীদের তরফ থেকে উঠছে নানা অভিযোগ। 


 ফিটনেস সার্টিফিকেটেই সেতুর উদ্বোধন ?
অভিযোগ উঠেছে, মেরামতির পর বিনা ফিটনেস সার্টিফিকেটেই সেতুর উদ্বোধন করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেতু বিপর্যয়ের পর অভিযোগ উঠেছে, বেশি মুনাফার জন্য বহনক্ষমতার থেকে অনেক বেশি পর্যটককে টিকিট বিক্রি করা হয়।  অভিযোগ, ১৫ টাকার টিকিট ব্ল্যাকে ১৭ টাকায় বিক্রি করা হয় এদিন।   একসঙ্গে বহু মানুষ উঠে পড়েন ব্রিজে। চলতে থাকে উল্লাস। বেশ কিছুজনকে ব্রিজের উপর লাফালাফি করতেও দেখা যায় সিসিটিভি ফুটেজে। তারপরই ঘটে যায় বিপর্যয় !


 



 ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের পর মর্মান্তিক দৃশ্য
রবিবার রাতের এই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের পর মর্মান্তিক দৃশ্য নজরে আসে। কেউ প্রাণ বাঁচাতে ব্রিজের কেবল ধরে ঝুলছেন, ব্রিজের কেবল ধরে বাঁচার চেষ্টায় কেউ ঝুলছেন ব্রিজের ভাঙা অংশ ধরে। সাঁতরে পাড়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন অনেকে।  চারিদিকে আর্তনাদ! ছটপুজোর সন্ধ্যায় গুজরাতের মোরবিতে ভয়ঙ্কর ব্রিজ-বিপর্যয় ঘটে। 


১৮৭৯ সালে, মাচ্ছু নদীর ওপর ৭৬৫ ফুট দীর্ঘ সেতুটি তৈরি হয়। ঝুলন্ত এই সেতুটি পর্যটকদের কাছে ছিল অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র। সংস্কারের জন্য চলতি বছরে প্রায় ৭ মাস বন্ধ ছিল সেতুটি। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের পর দিন চারেক আগেই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।


গুজরাতে ভোটের আগে এই সেতু বিপর্যয় ঘিরে রাজনীতির পারদও চড়ছে। গুজরাত সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে আম আদমি পার্টি। আজ ঘটনাস্থলে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বিপর্যয়ের পরপরই প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেন,' মোরবিতে যে বিপর্যয় ঘটেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল-সহ অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুরোদমে চলছে উদ্ধার কাজ। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। ' 


 


 


 


 


 


 


নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর। 
সেতুর টিকিটে কালোবাজারি!