Bank Fraud: পিন নম্বর ছাড়াও অ্যাকাউন্টের বিবরণ চুরি করছে এই ভাইরাস। SBI সহ ১৭টি ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের নিশানা করেছে হ্যাকাররা। বিপদের আগাম আশঙ্কা থেকে ভাইরাসের বিষয়ে সতর্ক করেছে সরকার। এই মারাত্মক ভাইরাস থেকে বাঁচতে এই কৌশল অবলম্বন করুন।
Drinik Android আসলে কী ?
Drinik একটি পুরনো ম্যালওয়্যার, ২০১৬ সালে প্রথম জানা গিয়েছিল এই অ্যাপের বিষয়ে। সম্প্রতি Drinik Android এর একটি নতুন সংস্করণ দেখা গেছে। এই সংস্করণটি তার পুরনো সংস্করণগুলির তুলনায় বহুগুণ বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। যার নিশানা থেকে SBI-এর মতো ব্যাঙ্কও ছাড় পায়নি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাস অ্যাপ খুব সহজেই গ্রাহকের ব্যাঙ্কিং বিবরণের পাশাপাশি তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।
Bank Customers Alert: সতর্কতা জারি করেছে সরকার
ভারত সরকার ইতিমধ্যেই এই ম্যালওয়্যার সম্পর্কে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের একটি সতর্কতা জারি করেছে। অতীতে আয়কর রিফান্ড তৈরির নামে ব্যবহারকারীদের অনেক তথ্য চুরি করছিল এই ভাইরাস। Drinik হল ম্যালওয়ারের একটি উন্নত সংস্করণ যা APK ফাইলের সঙ্গে একটি SMS পাঠিয়ে ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে। এর মধ্যে রয়েছে iAssist নামে একটি অ্যাপ, যা আয়করের জন্য ভারতের সরকারি ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট টুলের আকার ধারণ করে। এখানেই ভাইরাসের ফাঁদে পা দেয় গ্রাহকরা।
Bank Fraud: কীভাবে গ্রাহকদের নিশানা করে ভাইরাস ?
রিপোর্ট বলছে, এই ভাইরাসের সর্বশেষ সংস্করণটি iAssist নামে একটি APK নিয়ে এসেছে। যা ভারতের আয়করের অফিশিয়াল ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট টুলের রূপ নেয়। একবার ডিভাইসে ইনস্টল হয়ে গেলে APK ফাইল ব্যবহারকারীদের কল লগ পড়ার পাশাপাশি SMS পাঠানোর অনুমতি চায় এই অ্যাপ। একবার ব্যবহারকারী অনুমতি দিলে অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই বসব কাজ করতে পারে।
Bank Customers Alert: এভাবে আপনার পিন চুরি করে
মনে রাখবেন আপনাকে ফাঁদে ফেলার জন্য লগইন পৃষ্ঠা দেখানোর আগে বায়োমেট্রিক যাচাইকরণের স্ক্রিন দেখায় এই অ্যাপ। একবার গ্রাহক পিন দিয়ে দিলে তখনই ম্যালওয়্যার বায়োমেট্রিক পিন চুরি করে। পাশাপাশি মিডিয়া প্রোজেকশন ব্যবহার করে গ্রাহকের স্ক্রিন রেকর্ড করে কিস্ট্রোকগুলিও ক্যাপচার করে ভাইরাস। পরবর্তীকালে চুরি হওয়া বিশদ বিবরণ C&C সার্ভারে পাঠানো হয়।