ঝাবুয়া: কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার সময় 'প্রেসক্রিপশনে' দেওয়া হোক কালো মুরগির মাংস (কড়কনাথ থেরাপি)। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-কে এমনই অনুরোধ জানাল মধ্যপ্রদেশের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। তাদের দাবি, রোগীকে আরোগ্যকালে যথাযথ পুষ্টি জোগাবে বিশেষ প্রজাতির এই মুরগির মাংস। 


কোভিড যুদ্ধে জয় পেয়েও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ঢের সময় লেগে যাচ্ছে রোগীর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুষ্টির অভাবে বাধা পাচ্ছে জীবনের ছন্দ। সে কারণে 'পোস্ট কোভিড পিরিয়ড'-এ প্রেটিন জাতীয় খাবারের দিকে বেশি জোর দিতে বলছেন ডাক্তাররা। এবার সেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণে বিশেষ প্রজাতির মুরগির মাংসের উল্লেখ করেছে মধ্যপ্রদেশের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র। কোভিড রোগীদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য ICMR-কে কড়কনাথ (কালো মুরগির মাংস) প্রেসক্রিপশনের অনুরোধ জানিয়েছে তারা।


আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেলকে লেখা চিঠিতে ঝাবুয়া কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান দাবি করেছেন, বিশেষ প্রজাতির ওই মুরগি কোভিড জয়ীদের জন্য উপকারী। কালো রঙের ওই মুরগির মাংস, সুপ, ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর। যা খেলে কোভিড রোগীরা দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।গত ৮ জুলাই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে 'ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ'-এর কাছে।যেখানে বলা হয়েছে, কোভিড পরবর্তী সময়ে রোগীদের নিউট্রিশনাল থেরাপির মধ্যে থাকতে হয়। এই নির্ধারিত সময় রোগীকে সব ধরনের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়। সুষম আহারের মাধ্যমেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন রোগী। সেক্ষেত্রে রোগীর ডায়েটে 'কড়কনাথ থেরাপি' বা কালো মুরগির মাংস যথাযথ পুষ্টিগুণ জোগায়।


ঝাবুয়া কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের দাবি, কড়কনাথ বা বিশেষ মুরগির প্রজাতিতে ভরপুর পরিপোষক পদার্থ রয়েছে। ওই কালো মুরগির মাংসের মধ্যেই রয়েছে PUFA(EPA),DHA(22:6)। এছাড়াও জিঙ্ক আয়রন, ভিটামিন সি, প্রয়োজনীয় অ্যামিইনো অ্যাসিড ও নানা ভিটামিনে সমৃদ্ধ কড়কনাথ। যা কোভিড পরবর্তী পর্যায়ে দেহে পুষ্টি জুগিয়ে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম। 


মধ্যপ্রদেশের এই বিশেষ প্রজাতির মুরগির মাংস নিয়ে চর্চার শেষ নেই। ইতিমধ্যেই কড়কনাথ নিয়ে 'জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন রেজিস্ট্রি' বা জিআই সার্টিফিকেশন পেয়েছে মধ্যপ্রদেশ। কড়কনাথকে কোভিড রোগীর আরোগ্যকালে অন্তর্ভুক্ত করতে পুষ্টিগুণের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ICMR-এর কাছে। যেখানে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ছাড়াও হায়দরাবাদে 'ন্যাশনাল মিট রিসার্চ সেন্টার'-এ গবেষণাও তুলে ধরা হয়েছে।