নয়াদিল্লি : মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ( Mulayam Singh Yadav Funeral ) এবং সমাজবাদী পার্টির প্রাণপুরুষ মুলায়ম সিংহ যাদবের শেষকৃত্য।  মঙ্গলবার তাঁর  শেষকৃত্য সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানের  সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে। মুলায়ম সিংহ সোমবার গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ (Yadav passed away) করেন। হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পৈতৃক গ্রামে সাইফাইতে । সেখানেই মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রয়াত উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্যে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। 


পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানে শেষকৃত্য
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানে শেষকৃত্যের অঙ্গ হিসেবে মুলায়ম সিংহ যাদবের দেহের উপর তেরঙ্গে পতাকা ঢাকা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে নাগাদ মেলা ময়দানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সেখানেই এখন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হচ্ছেন অনুগামী, ভক্ত ও ঘনিষ্ঠরা। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা-পৃষ্ঠপোষক মুলায়ম সিংহ যাদবের শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারেন। 


কে কে হাজির থাকবেন 
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শেষকৃত্যে অংশ নিতে সাইফাই পৌঁছানোর কথা। ইতিমধ্যেই, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান এন চন্দ্রবাবু নাইডু আজ উত্তর প্রদেশের সাইফাই পৌঁছেছেন।


 বর্ণময় রাজনৈতিক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি
মুলায়মের মৃত্যু এক বর্ণময় রাজনৈতিক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন মুলায়ম। একসপ্তাহ ধরে ভর্তি ছিলেন গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে। সোমবার সকাল ৮টা ১৬ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে যান অমিত শাহ। মুলায়মের মৃত্যুতে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ১৯৩৯ সালের ২২ নভেম্বর, উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ায় জন্ম মুলায়ম সিং যাদবের। ৭ বারের সাংসদ ও ১০ বারের বিধায়ক।১৯৬৭ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন মুলায়ম। তিন দফায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৯-এ প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মুলায়ম। সামলেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব। এ বছরের জুলাই মাসে মৃত্যু হয় মুলায়মের স্ত্রী সাধনা গুপ্তর।