নয়া দিল্লি : ইস্তফা দেওয়ার পর প্রত্যাহার। পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ইস্তফা প্রত্যাহার নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর। শুক্রবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। পরে সিধু জানান, রাহুল গাঁধীর সঙ্গে আমার সমস্ত উদ্বেগ ভাগ করে নিয়েছি। সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে।


দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর নভজ্যোৎ সিংহ সিধু-ই পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি পদে থাকছেন বলে সম্প্রতি জানা গিয়েছিল। এছাড়া একটি কো-অর্ডিনেশন কমিটি গড়া হতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যে কমিটির সঙ্গে পাঞ্জাব সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনা করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।


সেবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চান্নির সঙ্গে দেখা করেছিলেন সিধু। পাঞ্জাব কংগ্রেস ভবনে তাঁদের মধ্যে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক হয়। তার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা এবং দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হরিশ চৌধুরী, মন্ত্রী পরগত সিংহ ও পাঞ্জাব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কুলজিৎ নাগরা। পিটিআই-কে কংগ্রেসের একটি সূত্র জানায়, প্যানেলে মুখ্যমন্ত্রী, নভজ্যোৎ সিংহ সিধু ও অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির এক জন প্রতিনিধি থাকতে পারেন। এই বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা হতে পারে।


রাজ্যের ডিজিপি ও অ্যাডভোকেট জেনারেল নিয়োগ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে অসন্তোষের জেরে পাঞ্জাব কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সিধু। তাঁর পদত্যাগের পর পরই, এক জন মন্ত্রী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতাও পদত্যাগ করেন। এদিকে আগামী বছরই পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। দলের এই পরিস্থিতিতে সংকট দেখা দেয়। এই পরিস্থিতির সমাধানে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সিধুর কাছে বার্তা পাঠান। তাঁর অফার গ্রহণ করার পর সিধু ট্যুইটারে লেখেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই আবহেই এগিয়ে ইস্তফা প্রত্যাহার সিধুর। 


আগেই সিধুর পদত্যাগ প্রত্যাহারের কথা জানা গেছিল। কিন্তু, দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরই সেটি অফিসিয়াল হয়। এপ্রসঙ্গ হরিশ রাওয়াত বলেন, উনি(সিধু) নিজের উদ্বেগের কথা রাহুল গাঁধীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁকে আমরা বলেছিলাম যে, আপনার বক্তব্য শোনা হবে। উনি রাহুল গাঁধীকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, পদত্যাগ প্রত্যাহার করেছেন। পিসিসি-র সভাপতি হিসেবে কাজ শুরু কথা জানিয়েছেন।