মুম্বই: দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ইডি-র হাতে গ্রেফতার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এবং প্রথম সারির এনসিপি নেতা নবাব মালিক। একটি আর্থিক তছরুপের মামলায়, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ওই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বুধবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তারপরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মন্ত্রীর গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি নবাব মালিকের অফিসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে। গ্রেফতারিতে দমবেন না, জয় আসবেই। জানিয়েছেন নবাব মালিক।
বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা মন্ত্রী নবাব মালিকের বাড়িতে যান। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। এরপর বাড়ি থেকে মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অফিসে। সেখানেও টানা কয়েকঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেল নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের অধীনে (Prevention of Money Laundering Act) বছর বাষট্টির ওই মন্ত্রীকে বয়ান রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
জিজ্ঞাসাবাদের খবর পেয়েই মুম্বইয়ে এনসিপির সদর কার্যালয়ের সামনে অফিসের বিক্ষোভ শুরু করে দলের সদস্যরা। মুম্বইয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসের সামনেই রয়েছে এনসিপির সদর অফিস। ইডি অফিসের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের বাধা দেয় প্রশাসন। বাধা দেওয়ার পর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এনসিপির সমর্থকরা।
এনসিপির মুখপাত্র সঞ্জয় ঠাকরে বলেন, 'বিজেপি, এনসিবি, সিবিআই এবং ইডির মধ্যে যে আঁতাত রয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নবাব মালিক। এনসিপি বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই আঁতাত ফাঁস করেই যাবে।'
বিরোধীদের উপর আক্রমণ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রের জোটসঙ্গীর পাশে দাঁড়িয়ে এই অভিযোগ করেছেন শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। একই সুর শোনা গিয়েছে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের গলাতেও। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছিল, দাবি শরদ পাওয়ারের। তাঁর দাবি, '২৫ বছর পর সেই একই ফন্দি ব্য়বহার করা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: 'ভুয়ো নোট চক্র চালাতেন দেবেন্দ্র ফডণবীশ', বিস্ফোরক নবাব
আরিয়ান মাদক মামলার সূত্র ধরে দীর্ঘদিন ধরেই নবাব মালিকের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে বিজেপি। পরে আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত নানা অভিযোগ নিয়ে নবাব মালিকের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশ। তাঁর অভিযোগ ছিল, দাউদ-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির থেকে জমি কিনেছিলেন মন্ত্রী নবাব মালিক। পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন নবাবও। সম্প্রতি বিজেপির বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করার অভিযোগ করেছিলেন নবাব মালিক।