মুম্বই: ক্রুজ ড্রাগস মামলায় নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র তদন্ত নিয়ে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের শরিক এনসিপি লাগাতার প্রশ্ন তুলছে। এরইমধ্যে এনসিবি-র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক। তিনি দাবি করেছেন, ক্রুজে হানা দেওয়ার সময় এনসিবি আট জন, বরং ১১ জনকে হেফাজতে নিয়েছিল। কিন্তু পরে তিন জনে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে একজন বিজেপির এক নেতার আত্মীয়।
নবাব মালিক বলেছেন, এনসিবি যেদিন ক্রুজে তল্লাশি চালিয়েছিল, ওই দিন এনসিবি-র আঞ্চলিক ডিরেক্টর সমীর ওয়ানখেড়ে ধোঁয়াটে বিবৃতিতে বলেছিলেন, আমরা ৮ থেকে ১০ জনকে হেফাজতে নিয়েছি। সবমিলিয়ে ১১ জনকে আটক করা হয়েছিল। মুম্বই পুলিশের কাছে সকাল পর্যন্ত এমনই তথ্য ছিল। কিন্তু এরপর সংখ্যা আটে নেমে আসে এবং তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী শনিবার অভিযোগ করেছেন যে, এনসিবি বিজেপি নেতা মোহিত কম্ভোজ (ভারতীয়া) আত্মীয় ঋষভ সচদেবাকেও আটক করেছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর মহারাষ্ট্র ও দিল্লির বিজেপি নেতাদের নির্দেশে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও তাঁর অভিযোগ। কম্ভোজ মুম্বইয়ে বিজেপি যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি।
তাঁর দাবির সমর্থনে মালিক কয়েকটি ভিডিও পেশ করে এনসিবি-র তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।মালিক বলেছেন, ঋষভ সচদেবা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করার দু ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়। সচদেবা সহ তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যখন শুনানি চলছিল, তখন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রতীক গাব্বা ও আমির ফার্নিচারওয়ালার নামও রিফ্লেক্ট হয়েছিল। এই দুইজনের ডাক পেয়েই আরিয়ান খান সেখানে গিয়েছিলেন।
নবাব মালিকের আরও দাবি, ওই জাহাজে ১৩০০ লোক ছিল। ১২ ঘণ্টা ধরে অভিযান চলেছিল। ১১ জনকে আটক করা হয়। তিনি দাবি তুলেছেন যে, এনসিবি-কে জানাতে হবে ওই তিনজনকে ছাড়ার নির্দেশ কারা দিয়েছিল।
৬২ বছরের নবাব মালিক আরও বলেছেন, মুম্বই পুলিশের অ্যান্টি নারকোটিকস সেলের এই ঘটনা পৃথক তদন্ত করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে চিঠি লিখে ওই দাবি জানাব। প্রয়োজন হলে এনসিবি-র হানা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা উচিত।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে গোয়া-গামী একটি ক্রুজে এনসিবি তল্লাশি চালিয়েছিল। ওই তল্লাশিতে বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান ও অন্য কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ঘটনা নিয়ে এনসিপি-র মুখপাত্র ও মন্ত্রী নবাব মালিক এনসিবি-র আধিকারিকদের আচরণ নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলছেন।