নয়াদিল্লি : ওমিক্রন-আতঙ্কের মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াল করোনার নতুন প্রজাতি নিওকোভ। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাদুড়ের শরীরে এই ভাইরাস মিলেছে বলে দাবি করেছেন চিনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।
- NeoCov: একটি নতুন ভাইরাস নয়
রিপোর্ট অনুসারে, NeoCov একটি নতুন ভাইরাস নয় । এই নিওকোভ ভাইরাসের সঙ্গে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের মিল রয়েছে। যা সার্স-কোভ-টু-র মতো একইভাবে মানব শরীরে ঢুকতে পারে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়-দলের মধ্যে পাওয়া যায় এই ভাইরাস ৷ যদিও মানুষের শরীরে সংক্রমিত হওয়া থেকে আর একটি মিউটেশন দূরে আছে এই ভ্যারিয়েন্ট।
আরও পড়ুন :
মহারাষ্ট্রের পর এবার স্কুল খুলে যাচ্ছে রাজস্থানে, জানুন কী শর্ত
- গবেষকরা কী বলছেন?
উহান ইউনিভার্সিটি এবং চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অফ বায়োফিজিক্সের (Wuhan University and the Chinese Academy of Sciences' Institute of Biophysics ) গবেষকরা বলেছেন যে ভাইরাসটি মানুষের কোষে অনুপ্রবেশের জন্য শুধুমাত্র একটি মিউটেশন প্রয়োজন। তাঁরা আরও সতর্ক করেছেন, করোনভাইরাসের ( COVID-19) অ্যান্টিবডি বা কোভিড-১৯ টিকা মানবদেহকে নিওকভের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে পারে না।
NeoCov দ্বারা সংক্রমিত তিনজনের মধ্যে একজন মারা যায়: গবেষকদের দাবি
গবেষকদের মতে, NeoCov-এর মধ্যে COVID-19-এর উচ্চ সংক্রমণ হার এবং MERS-CoV-এর উচ্চ মৃত্যুহারের সম্ভাব্য সমন্বয় রয়েছে। NeoCov-এর মৃত্যুর হার প্রায় 33%, যার অর্থ প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন সংক্রামিত মানুষ মারা যেতে পারে।
চিনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর।উহানের একটি ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। রাশিয়ার ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি-তে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, নিওকোভ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চিনা গবেষকরা যে তথ্য পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, করোনার এই নতুন প্রজাতি নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। এ নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন।