নয়াদিল্লি : ভারতে জনসংখ্যার নিরিখে এই প্রথম পুরুষদের সংখ্যা ছাপিয়ে গেল মহিলারা। দেশে প্রতি ১০০০ পুরুষে মহিলার সংখ্যা ১০২০। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষায় এই তথ্য সামনে এসেছে। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডক্টর বিনোদ কুমার পাল ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ বুধবার ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সমীক্ষা ((NFHS-5)-র ফ্যাক্টশিট জারি করেন। এর আগে NFHS-4-এ প্রতি এক হাজার পুরুষ জনসংখ্যা মহিলাদের সংখ্যা ছিল ৯৯১।
সমীক্ষার প্রথম পর্বে সামিল ২২ রাজ্যে ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল সম্পর্কে এনএফএইচএস-৫ এর ফলাফল ২০২০-র ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে যে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে , সেগুলির মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, চণ্ডীগড়, ছত্তিসগড়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, ওড়িশা, পুদুচেরি, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। এনএফএইচএস-৫ এর সমীক্ষার কাজ দেশের ৭০৭ জেলায় (মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত) প্রায় ৬.১ লক্ষ নুমনা পরিবারে চালানো হয়েছিল। এতে জেলাস্তর পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন অনুমানের জন্য ৭,২৪, ১১৫ জন মহিলা ও ১০,১,৮৩৯ জন পুরুষকে সামিল করা হয়েছিল।
মোট প্রজনন হার (টিএফআর): জাতীয় স্তরে প্রতি মহিলা অনুসারে সন্তানের সংখ্যা ২.২ থেকে কমে হয়েছে ২.০। আর সমস্ত ১৪ রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে চণ্ডীগড়ে এই হার ১.৪ এবং উত্তরপ্রদেশে ২.৪ হয়েছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশ ছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ের সমীক্ষাভূক্ত রাজ্যগুলিতে প্রজনন ক্ষমতার প্রতিস্থাপন স্তর ২.১।
সিপিআর: কন্ট্রাসেপটিভ প্রিভেলেন্ট রেট (সিপিআর সর্বভারতীয় স্তরে পঞ্জাব ছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ের সমীক্ষা-ভূক্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৭ শতাংশ।
সর্বভারতীয় স্তরে হাসপাতালে জন্মদানের হার ৭৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৯ শতাংশ। পুদুচেরি ও তামিলনাড়ুতে হাসপাতালে প্রসবের হার ১০০ শতাংশ। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় স্তরের সমীক্ষাভূক্ত সাত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এই হার ৯০ শতাংশের বেশি।