Stock Market Update: দীপাবলির আগেই বদলে যেতে পারে পরিস্থিতি। বিশ্বজুরে মন্দার আবহে চাঙ্গা হতে পারে ভারতের শেয়ার বাজার। অন্তত তেমনই বলছেন শেয়ার বিশেষজ্ঞরা।
গত নয় মাস ধরে একই বক্তব্য শোনাচ্ছে আমেরিকা। নিত্য়দিন মন্দায় যাওয়ার খবর দিচ্ছে মার্কিন অর্থনীতি। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বলছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ কমেনি দেশে। সুদের হার ৩০০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো সত্ত্বেও ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে মন্দা আসতে পারে আমেরিকায় । এর থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, আমেরিকার মতো উন্নত দেশে এখন সর্বত্র হতাশা সত্ত্বেও পরবর্তী বুলস রানের জেরে বাজার উঠতে চলেছে। এমনিতে কোনও দেশ মন্দার মধ্যে গেলে তার মুদ্রার পতন হওয়া উচিত। এই ক্ষেত্রে শক্তি দেখাচ্ছে ডলার। যা স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগকারীদের মনে সাহস জোগাচ্ছে।
সুদের হার বাড়ানোর পরও 'ক্যাশ ফ্লো' বা বাজারে নগদের জোগান বন্ধ হচ্ছে না। মনে রাখতে হবে,কেবল মুদ্রানীতি দিয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আমি এটা দেখে খুশি যে যারা বিনিয়োগ করছেন বা ব্যবসা করছেন তারা অর্থনীতিকে ভালোভাবে বুঝতে শুরু করেছেন। একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে ভারতে। দেশে আমরা গাড়ির বিক্রি হ্রাস বা ব্যবহার হ্রাস দেখতে পাচ্ছি না। প্রতিনিয়ত বাড়ছে কর আদায়। ৭ মাস ধরে জিএসটি সংগ্রহ ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার উপরে গিয়েছে।
ভারতে ৭ শতাংশ হারে জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। অন্তত সেরকমই পূর্বাভাস দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যদিও ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড জিডিপি বৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬.৮ শতাংশ রেখেছে। ভালো বর্ষা দেশের খরিফ ফসল উৎপাদনে সাহায্য করেছে। এতে কৃষি উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পর ভারত সরকার এখন সরবরাহের দিকে নজর দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, জিডিপিতে কৃষির অবদান বাড়বে। ভারত সরকারও পরিষেবাগুলিকে জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে আগামী দিনে প্রমাণিত হবে।
আমি বিশ্বাস করি, নিফটির মূল্যায়ন ১৭,১০০ থেকে ওপরে উঠবে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি থেকে ইতিমধ্যে ৩৫ বিলিয়ন ডলার বেরিয়ে গেছে। যার মধ্যে ২৫ শতাংশ দ্রুত ফিরে আসতে পারে। অতএব, এখান থেকে নিফটি সূচক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। শীঘ্রই বাজারে নতুন বুম আসতে পারে। ২১০ টাকায় থাকার পরে ITC ৫০ শতাংশ বেড়ে ট্রেড করছে। যারা ভয়ে স্টক বিক্রি করেছে, তারা তা হারিয়েছে। আমরা BHEL, Mahindra & Mahindra Finance-তে একই রকম পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। এটি কেভিবিতেও দেখা গেছে। আগে এটি ৫০ টাকার বেশি যাচ্ছিল না। আপনার যদি ২ থেকে ৩ বছর ধৈর্য না থাকে, তাহলে বিগ ক্যাপগুলিও আপনাকে টাকা দিয়ে টাকা দিতে পারবে না। সিএনআই এখন মাইক্রো ক্যাপের ওপর জোর দিচ্ছে।
আমরা দীপাবলিতে স্টক বেছে নিয়েছি। যার মধ্যে বিগ ক্যাপ, স্মল ক্যাপ ও মাইক্রো ক্যাপের তালিকা রয়েছে। আমরা যে মাইক্রো ক্যাপগুলি বেছে নিয়েছি, তা আগামী দীপাবলির মধ্যে স্মল ক্যাপ হবে৷ আমরা রিপোর্টে Cera, Vishnu Vip, Sandur, Oriental Aromatics অন্তর্ভুক্ত করেছি। ইতিমধ্য়েই ডেল্টা কর্প চমৎকার ফল ঘোষণা করেছে। এটি একটি দারুণ স্টক কিন্তু আমাদের জন্য না। আমাদের মাল্টিব্যাগার আইডিয়া থেকে আপনি ২ বা ৩ স্টকের মধ্যে বেছে নিতে পারেন।
(এগুলো লেখকের ব্যক্তিগত মতামত)
কিশোর পি অস্তওয়াল
সিএমডি, সিএনআই রিসার্চ