নয়াদিল্লি: সম্প্রতি গম রফতানিতে কড়া লাগাম জারি করেছে ভারত সরকার। তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে জি-সেভেন (G7) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। প্রশ্ন উঠেছিল ভারতে কি গমের সঙ্কট তৈরি হয়েছে? তার জন্যই এমন নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার? সেই আশঙ্কাই একেবারে উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী (Union Agriculture Minister) নরেন্দ্র সিংহ তোমর। 


কী বলেছেন মন্ত্রী:
তিনি জানিয়েছেন, এখন ভারতে গমের (Wheat) কোনও সঙ্কট নেই। শুধু লাগামছাড়া রফতানি (Export) রুখতেই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতের বাজারে ভারসাম্য বজার রাখতেই এমন নির্দেশ বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারতের চাহিদা মেটানোর দিকেই লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা:
১৪ মে ভারত সরকার গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে কোনও দেশের খাদ্য সুরক্ষার (Food Security) প্রশ্নে গম পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছিল ভারতের তরফে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে গমের দাম যাতে না বাড়ে এবং প্রবল গরমে যদি গম উৎপাদন ধাক্কা খায় তা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম রফতানিকারক। ফলে এই সিদ্ধান্তে চাপে পড়েছিল বিশ্বের একাধিক দেশ, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশও। ভারত রফতানি বন্ধ করতেই সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব বাজারে লাফিয়ে বেড়েছিল গমের দাম। ইউরোপের বাজারে রেকর্ড করেছিল গমের দাম। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল G7 তালিকাভুক্ত দেশগুলি। কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। 


চিনের সমর্থন:
এই ঘটনায় ঘুরিয়ে ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছিল চিন (China)। গম রফতানি ইস্যুতে ভারতের পক্ষেই সওয়াল করা হয়েছে চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের সমালোচনা করে বিশ্বের খাদ্য পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হবে না। ভারতকে দোষ দিয়েও কোনও লাভ নেই। বিশ্বের খাদ্য সঙ্কটের পরিস্থিতি এড়াতে এগিয়ে আসা উচিত বিশ্বের উন্নত দেশগুলিরই। চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্য়মে এমনটাই লেখা হয়েছিল।


আরও পড়ুন: একাধিকবার জামিন খারিজ, শেষমেশ ক্লিনচিট আরিয়ানকে ; টাইমলাইনে কর্ডেলিয়া ক্রুজ মাদক মামলা