নয়ডা : টিভির পর্দায় কার্যত গোটা দেশ-ই দেখে ফেলেছে নয়ডার (Noida) টুইন টাওয়ার (Twin Towers) ভেঙে ফেলার মুহূর্ত। কিন্তু, বিশালাকার এই টুইন টাওয়ার ভেঙে দেওয়ার পর কতটা আর্থিক ক্ষতি হল ? তা জনিয়ে দিলেন রিয়েলটি ফার্ম সুপারটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আর কে আরোরা। তিনি জানান, নির্মাণ ও সুদের অর্থ-বাবদ প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এর জেরে। 


ধূলোয় মিশল ‘দুর্নীতির’ তাসের ঘর-


নয়ডায় অপারেশন ডিনামাইট। ধূলোয় মিশল ‘দুর্নীতির’ তাসের ঘর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নয়ডায় কয়েক সেকেন্ডে মাটিতে মিশে গেছে নিয়ম ভেঙে মাথা তুলে দাঁড়ানো অ্যাপেক্স ও সিয়ানি নামের প্রায় ১০০ মিটারের দুটি টাওয়ার। ৩২ তলার অ্যাপেক্সের উচ্চতা ছিল ১০৩ মিটার। আর ৩০ তলার সিয়ানির উচ্চতা ছিল ৯৭ মিটার। এর ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি নির্মাণকারী সংস্থার। বহুতল দু’টি ভাঙার জন্য যে ২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, তাও তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।


আরও পড়ুন ; ৮০ হাজার টনের ধ্বংসাবশেষের ধোঁয়ায় 'সমাধি' নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ারের


দুর্নীতির জোড়া প্রাসাদ ধূলিসাৎ হওয়ার পর ধুলোর ঝড় ওঠে নয়ডার সেক্টর 93A-তে। রাস্তা থেকে গাছপালা, ধুলোর চাদরে ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা। দূষণের আশঙ্কায় নয়ডাবাসী। স্মগগান দিয়ে ধুলো সরিয়ে হোসপাইপ ব্যবহার করে জল ছেটানোর কাজ চলছে। 


টুইন টাওয়ার ভাঙার আগে আশেপাশের আবাসনের প্রায় দেড় হাজার বাসিন্দাকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ জায়গায়। তাঁদের ফের আবাসনে ফেরানোর কাজ শুরু হবে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়।


আজ দুপুর আড়াইটেয় ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় UNESCO-র হেরিটেজ কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু এই জোড়া ইমারত। যার নাম দেওয়া হয় অপারেশন ডিনামাইট। সময় ও খরচ বাঁচাতে ব্যবহার করা হয় ওয়াটারফল ইমপ্লোশন বা ঝর্না বিস্ফোরণ পদ্ধতি। ধ্বংসলীলা শুরু হওয়ার আগে বাজানো হয় সাইরেন। যমুনা এক্সপ্রেস-সহ আরও ৫টি রাস্তায় আধঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। জোড়া ইমারত ধ্বংসের পরে প্রায় ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হবে। যা সরাতে সময় লাগতে পারে অন্তত ৩ মাস। 


বেআইনি ইমারত ধ্বংসের পর দূষণের মাত্রা মাপতে আনা হয়েছে বিশেষ ডাস্ট মেশিন। অন্যদিকে, জোড়া ইমারত ভেঙে ফেলা নিয়ে সতর্ক ছিল প্রশাসন। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৫৬০ জন পুলিশ কর্মী, ১০০ জন রিজার্ভ ফোর্স। প্রস্তুত রাখা হয় ৪টি ক্যুইক রেসপন্স টিম ও এনডিআরএফ। লাগানো হয় ৭টি সিসি ক্যামেরা।