নয়াদিল্লি: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেতা-নেত্রীর মন্তব্যের জেরে তোলপাড় দেশ-বিদেশ। একাধিক দেশ থেকে কড়া বিবৃতি জানানো হয়েছে। ভারত সরকারকে (Government of India) ক্ষমা চাইতেও বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে, বিষয়টি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে দেশেও। এবার উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে আত্মঘাতী হামলার হুমকি দিল জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা। 


কোথায় কোথায় হামলার হুমকি:
দিল্লি-সহ চার রাজ্যে হামলার হুমকি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা (Al-Qaeda)। দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ এবং মুম্বইয়ে হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে। সম্মান রক্ষার্থেই এই হামলা চালানো হয়েছে। চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে, 'দিল্লি, মুম্বই, গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া সন্ত্রাসবাদীরা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুক। যারা আমাদের নবীকে অপমান করে তাদের আমরা শেষ করে দেব। তাদের উড়িয়ে দিতে আমাদের বা আমাদের সন্তানদের দেহের সঙ্গে বিস্ফোরক বেঁধে দেব।'


হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেতা-নেত্রীর মন্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে মোদি সরকার। এই পরিস্থিতিতে দেশে আল-কায়দার আত্মঘাতী হামলার হুমকি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। 

এর আগে:
ইতিমধ্যেই আরব উপমহাদেশের একাধিক দেশের তরফে ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। ডেকে পাঠিয়ে ক্ষোভের কথা জানানো হয়েছিল ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকেও। পরে নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। টুইটার থেকে তাঁর টুইট তুলেও নেন। যদিও তাতে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া যায়নি। সদ্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, বিজেপির (BJP) এই প্রাক্তন মুখপাত্রকে। পেশায় আইনজীবী নূপুর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে এলএলএম করা তাঁর। ২০১৫ সালে ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন নূপুর শর্মা।  দিল্লি বিধানসভা ভোটে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরে যান তিনি। পরে বিজেপির মুখপাত্রের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। বিজেপির এই নেত্রীর মন্তব্যের পরেই দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। ওই মন্তব্যের কারণেই উত্তরপ্রদেশে হিংসা ছড়ায় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় একাধিক লোক জখম হয়েছেন। এরপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। পদ থেকে ছাঁটলেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ওই নেত্রীর।