ভুবনেশ্বর : নিজের বেতন নিয়ে খুশি ছিলেন না। তাই বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মাওবাদীদের নামে সংস্থার কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিচ্ছিলেন। এই অভিযোগে ওড়িশার ঝাড়সুগুড়া জেলার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতের নাম ষুধিষ্টির প্রধান। তিনি বারগড় জেলার বাসিন্দা।


ঝাড়সুগুড়া জেলার একটি বেসরকারি সংস্থায় ফিটার হিসাবে কাজ করেন তিনি। মাসিক বেতন ২২ হাজার টাকা। যদিও এই টাকায় খুশি ছিলেন না তিনি। তিনি মনে করেন, স্থানীয়দের ঠিকমতো বেতন দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে পশ্চিম ওড়িশার বাইরে থেকে যেসব কর্মী রয়েছেন, তাঁদের ভাল বেতন দেওয়া হচ্ছে। তাই তিনি একাধিক বার বেতন বৃদ্ধির দাবি জানান। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। 'অগত্যা' সংস্থার ম্যানেজমেন্টকে ভয় দেখিয়ে নিজের ও সহকর্মীদের বেতন বাড়িয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ।


গত ২৯ জুলাই মাওবাদীদের নামে একটি চিঠি পান সংস্থার সাইট ইন-চার্জ আবুতার খান। পশ্চিম ওড়িশার মাওবাদীদের তরফে সেই চিঠি পাঠানোর কথা উল্লেখ করা হয়। চিঠিতে মাওবাদীদের 'প্রধানের সই' ছিল। তাতে হুমকি দিয়ে বলা হয়, পশ্চিম ওড়িশার কর্মীদের যদি ভাল আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া না হয়, তাহলে সাইট ইন-চার্জকে খুন করা হবে। চিঠিতে সংস্থার আট কর্মীর নাম করা হয়, যাঁদের বেতন বৃদ্ধি করতে বলা হয়। এই চিঠির পাশাপাশি সাইট ইন-চার্জ একাধিক হুমকি ফোন ও মেসেজ পান। সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স বিভাগও হুমকি চিঠি পায়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনই খবর।


সম্প্রতি এই মর্মে সংস্থার সাইট ইন-চার্জ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বদমল পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে প্রথমেই যে মোবাইল ফোন থেকে সাইট ইন-চার্জকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল সেটি ট্র্যাক করে পুলিশ । এর পরই প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়।


তিনি বলেন, ১২ বছর ধরে এই সংস্থায় কাজ করছি। স্থানীয়দের তুলনায় যাঁরা বাইরে থেকে কাজে করতে আসেন, তাঁদের বেশি বেতন দেওয়া হয়। একাধিক বার বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। তাই আমি ভাবি, ম্যানেজমেন্টকে ভয় দেখালে হয়ত ভাল বেতন পাওয়া যাবে।