নয়াদিল্লি: কম বিনিয়োগ করেও ভালো লাভের আশা করেন সবাই। সেই ক্ষেত্রে বহুবার ঝুঁকির বিনিয়োগের প্রলোভনে পা দেন আমানতকারীরা। পরবর্তীকালে যার ফলও ভুগতে হয় তাঁদের। তাই ঝুঁকি ছাড়াই টাকা দ্বিগুণের পথ দেখাচ্ছে কিষাণ বিকাশ পত্র Kisan Vikas Patra (KVP) । পোস্ট অফিস(Post Office Scheme) ছাড়া ব্যাঙ্কেও (Bank) করতে পারেন এই সরল বিনিয়োগ।


কী এই কিষাণ বিকাশ পত্র ? (Kisan Vikas Patra)
পোস্ট অফিস (Post Office) বা বাঙ্কে করা যেতে পারে কিষাণ বিকাশ পত্র (Kisan Vikas Patra)। সরকারের এই আর্থিক যোজনা অনুযায়ী, জমা অর্থ দ্বিগুণ হতে সময় লাগে ১২৪ মাস(১০ বছর ৪মাস)। এই নির্দিষ্ট সময়ই হল কিষাণ বিকাশ পত্রের টাকা জমা রাখার মেয়াদকাল।১৯৮৮ সালে ভারতীয় ডাক বিভাগ (India Post)প্রথম এই আর্থিক যোজনা নিয়ে আসে।যদিও ২০১১ সালে সরকারি কমিটির নির্দেশ মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই স্কিম। 


কিষাণ বিকাশ পত্রে পরিবর্তন (Kisan Vikas Patra)
সরকারের তরফে আশঙ্কা করা হয়, এই স্কিমে টাকা রেখে অর্থ পাচার করতে পারে কালো টাকার কারবারীরা।যদিও পরবর্তীকালে সরকারের নির্দেশেই ফের Kisan Vikas Patra শুরু হয়। সেই থেকে যোজনায় টাকা রাখতে মানতে হয় কিছু নতুন নিয়ম।এখন কোনও ব্যক্তি এই স্কিমে ৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে গেলেই দেখাতে হবে প্যান কার্ড। এমনকী ১০,০০,০০০ টাকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে আমানতকারীকে। তবে সরকারি পাশে দাঁড়ানোর পর থেকেই বর্তমানে ঝুঁকিহীন বিনিয়োগ তকমা পেয়েছে কিষাণ বিকাশ পত্র। 


কারা এই স্কিমের যোগ্য ?(Kisan Vikas Patra)
এই স্কিমে টাকা রাখলে আমানতকারী ৬.৯ শতাংশের চক্রবৃদ্ধি হারে (Compounding Interest) সুদ পাবেন। কিষাণ বিকাশ পত্রে টাকা রাখতে গেলে আমানতকারীকে অবশ্যই একজন ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।সেই ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত (Personal) বা যৌথভাবে  অ্যাকাউন্ট (joint account) খুলতে পারেন আমানতকারীরা। তবে যৌথ অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৩ অতিক্রম করলে হবে না।১৮ বছর হলেই এই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। 


তবে ১০ বছরের ঊর্ধ্বর কোনও নাবালক এই স্কিমে টাকা রাখতে পারে। সেই ক্ষেত্রে নাবালকের হয়ে তার অভিভাবকও কিষাণ বিকাশ পত্রে টাকা রাখতে পারেন। মানসিক ভারসাম্যহীন কোনও ব্যক্তির জন্যও এই কাজ করতে পারেন অভিভাবকরা। সবার ক্ষেত্রে টাকা জমার ন্যূনতম সংখ্যা ১০০০টাকা।কোনও ব্যক্তি চাইলে একাধিক Kisan Vikas Patra অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই।  
 
কোন কোন ক্ষেত্রে হতে পারে Account Transfer ?
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে (KVP)-র অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হতে পারে।
কোনও কারণে আমানতকারীর মৃত্যু হলে তাঁর উত্তরাধিকারী বা নমিনি সেই টাকা পেতে পারেন।
জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে অন্যের নামে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হয়ে যাবে। 
আদালত যদি অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের নির্দেশ দেন তাহলে এই কাজ হতে পারে।


Kisan Vikas Patra Premature Withdrawal
এই স্কিমের ক্ষেত্রে 'লক ইন পিরিয়ড' রয়েছে ৩০ মাসের। মানে আড়াই বছর আপনি টাকা তুলতে পারবেন না। সেই ক্ষেত্রে টাকা তুললে সুদের হারে কোপ পড়বে। তবে মেয়াদ পূরণের আগে টাকা তুললে মূল 'প্রিন্সিপাল সাম' বা মূলধনের সঙ্গে যতদিন টাকা রেখেছেন তার সুদ পাবেন আমানতকারী। 


আরও পড়ুন : PPF Update: প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুখবর, পোস্ট অফিসে না গিয়েই তুলুন PPF-এর টাকা


আরও পড়ুন : Post Office Franchise: ৫০০০টাকা দিলেই পোস্ট অফিসের ব্যবসা, প্রতি মাসে বাম্পার আয়ের সুযোগ


আরও পড়ুন ; Post Office Saving Schemes: ৭ শতাংশের বেশি সুদ দিচ্ছে পোস্ট অফিস, এই প্রকল্পে টাকা রাখলেই লাভবান