নয়াদিল্লি: ভারতে করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা শুক্রবারই ১০০ ছাড়িয়েছে। এরইমধ্যে সতর্কতার সুর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গলায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, ওমিক্রন সংক্রমণ দেশের কাছে উদ্বেগের একটা পর্ব। নীতি আয়োগের সদস্য-স্বাস্থ্য ভিকে পল সাংবাদিকদের বলেছেন, ইংল্যান্ড বা ফ্রান্সের মতো ইউরোপীয় দেশগুলিতে যে গতিতে সংক্রমণ চলছে,সেই গতিতে ভারতে সংক্রমণ ছড়ালে প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।
আশার কথা, ভারতে এখনও ওমিক্রন সংক্রমণ সেভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। এরইমধ্যে সরকার উল্লেখ করেছে, ইউরোপে অতিমারীর নয়া পর্ব শুরু হয়েছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ইউরোপের মতো পরিস্থিতি যেন ভারতে না হয়। আমাদের দেশে ইউরোপীয় দেশগুলির মতো সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না। তবে আমাদের পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।
গত বুধবারই ব্রিটেনে সর্বাধিক দৈনিক করোনা সংক্রমণের খবর সামনে এসেছে। ওই দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার। আর এই ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ভারতও পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংকট দেখা দিলে তার মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উৎসব অনুষ্ঠান ছোট আকারে সব ধরনের সতর্কতা মেনে করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জমায়েত করা চলবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে সাফল্য এসেছে, তা ধরে রাখতে হবে। ভারতে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন সংক্রমণের যে ঘটনাগুলি ধরা পড়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে হয় বিদেশে যাতায়াতের রেকর্ড রয়েছে বা বিদেশে যাত্রাকারীদের সংস্পর্শে আসার রেকর্ড রয়েছে। আমাদের এখানে এখনও ব্যাপক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।
এভাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমনের খবর নেই।
সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ৯১ টি দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার।
ভারতে যে ২৪ জেলায় করোনা সংক্রমণের পজিটিভিটির হার ৫ শতাংশের বেশি, সেই জেলাগুলিতে ওই সংখ্যা হ্রাস না হওয়া পর্যন্ত বিধিনিষেধ সংক্রান্ত ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। ভিকে পল বলেছেন , উদ্ভূত সম্ভাব্য পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। সেইসঙ্গে সতর্কতা বজায় রেখে চলতে হবে।