নয়াদিল্লি:  সারা বিশ্বজুড়েই উদ্বেগ তৈরি করেছে করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ভারতেও ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট। তবে  এ দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ আর বিচ্ছিন্ন কোনও সংক্রমণ নয়। তা বর্তমানে দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের  পর্যায়ে রয়েছে।  দেশের বড় শহরগুলিতে এই ভ্যারিয়েন্টই দাপট দেখাচ্ছে। এই শহরগুলিতে বিগত কিছুদিন ধরে মাত্রাছাড়াভাবে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়েছে।


আইএনএসএসিওজি তাদের সাম্প্রতিক বুলেটিনে এ কথা জানিয়েছে। আইএনএসওসিওজি (INSACOG) কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায় তা পরীক্ষা করতে সারা দেশজুড়ে ভ্যারিয়েশন পরীক্ষা করে দেখে। সংক্রমণ কীভাবে ছড়ায়, বিবর্তন হয় তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আইএনএসএসিওজি  সম্ভাব্য সবচেয়ে কার্যকর জনস্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকে। এই সংস্থা অনেকটা SARS-CoV-2 জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম। 


কেন্দ্রের এই গবেষণা সংস্থা আরও জানিয়েছে যে, ওমিক্রনের   সংক্রামক সাব ভ্যারিয়েন্ট  BA.2 ভারতে উল্লেখযোগ্য ভগ্নাংশ হারে চিহ্নিত করা গিয়েছে। 


বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওমিক্রন আক্রান্ত হয় উপসর্গহীন বা মৃদু। করোনার চলতি ঢেউয়ে হাসপাতালে ভর্তি বা আইসিইউ-তে রাখার ঘটনা বাড়ছে এবং আশঙ্কার পর্যায় অপরিবর্তিত রয়েছে। আইএনএসিওজি ১০ জানুয়ারির বুলেটিনে এ কথা জানিয়েছে, তা রবিবার প্রকাশিত হয়েছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, ওমিক্রন এখন ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ পর্যায়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি মেট্রো শহরে এই স্ট্রেন প্রধান হয়ে উঠেছে, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। আইএনএসএসিওজি বলেছে, দেশে সম্প্রতি প্রাপ্ত B.1.640.2 lineage-এর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।


সংস্থার ৩ জানুয়ারির বুলেটিনও রবিবার প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বুলেটিনেও বলা হয়েছেন, ভারতে ওমিক্রন গোষ্ঠী সংক্রমন স্তরে। দিল্লি ও মুম্বইয়ের মতো শহরগুলিতে এই স্ট্রেন  দাপট দেখাচ্ছে, যেখানে নতুন করে আক্রান্তর সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে।


 উল্লেখ্য, দেশে দৈনিক সংক্রমণ (India Corona Update) কিছুটা কমলেও, তা আজও সাড়ে ৩ লক্ষের কাছাকাছি। ওমিক্রন (Omicron) আবহে উদ্বেগ বাড়িয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ফের সাড়ে ৫০০-র কাছাকাছি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health & Family Welfare) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫২৫ জনের।