নয়া দিল্লি : এবার রাজধানীতে প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হদিশ মিলল। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, ওই রোগীকে এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তানজানিয়া থেকে ফিরেছিলেন। এখন পর্যন্ত বিদেশ থেকে ফেরা ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে দিল্লির এই আক্রান্তকে নিয়ে ওমিক্রনে দেশে মোট পাঁচ জন আক্রান্তের হদিশ মিলল। এর আগে কর্ণাটক, গুজরাত, মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন-আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, ওমিক্রন ভ্যারিয়ন্টের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ।
গুজরাতের জামনগরে জিম্বাবোয়ে ফেরত একজনের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। খোঁজ মেলে মুম্বইয়ের আক্রান্তের। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর জানায়, ওমিক্রন আক্রান্তের বয়স ৩৩। সম্প্রতি তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন। কল্যাণ-ডোম্বিভলির বাসিন্দা ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে নামার পর ওই ব্যক্তির সামান্য জ্বর হয়েছিল। তিনি করোনার কোনও টিকা নেননি। জ্বর ছাড়া তাঁর অন্য কোনও উপসর্গ ছিল না। সরকারি সূত্রে খবর, কল্যাণ-ডোম্বিভালির কোভিড কেয়ার সেন্টারে মৃদু উপসর্গ-যুক্ত আক্রান্তর চিকিৎসা চলছে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে হাই-রিক্স সংস্পর্শে থাকা দিল্লি-মুম্বই উড়ানের ১২ যাত্রী ও ২৩ জন লো-রিস্ক সংস্পর্শে থাকা যাত্রীকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁদের সবার রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।
এর আগে ভারতে আরও দুই ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। তাঁদের মধ্যে একজন কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর এক চিকিৎসক। তিনি আগেই করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। তাঁর কোনও ভ্রমণের ইতিহাসও নেই। ৪৬ বছরের ওই চিকিৎসকের জ্বর ও গায়ে ব্যথার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। অন্য আর এক আক্রান্ত ৬৬ বছরের দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই তিনি ভারতে এসেছিলেন।