নয়া দিল্লি : "ওমিক্রন(Omicron) সবাইকে মেরে ফেলবে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি পরিবারকে সমস্যায় ফেলে যেতে পারেন না।" তাই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করলেন এক চিকিৎসক।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরের(Uttar Pradesh's Kanpur) ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে। সেই অনুযায়ী, ওই চিকিৎসক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলেন। ডায়েরিতে লেখা রয়েছে, "ওমিক্রন সবাইকে মেরে ফেলবে । আমার অসচেতনতার জন্যই এমন একটা জায়গায় সমস্যা হয়ে আছে যেখান থেকে বেরনো মুশকিল।" খবর অনুযায়ী, ওই চিকিৎসক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
কী ঘটেছিল ?
ওই চিকিৎসকের নাম সুশীল কুমার। তিনি কানপুরের একটি হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান। অভিযোগ, তিনি স্ত্রী(৪৮), ১৮ বছরের ছেলে ও ১৫ বছরের মেয়েকে হত্যা করেন। এরপর ভাইকে মেসেজ পাঠিয়ে পুলিশে খবর দেওয়ার কথা জানান। পুলিশ বা ভাই পৌঁছনোর আগেই, গা ঢাকা দেন ওই চিকিৎসক।
আরও পড়ুন ; এবার মুম্বইয়ে মিলল ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ
ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাথা হাতুড়িও উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে উল্লেখ রয়েছে, ওই চিকিৎসক এমন একটি রোগে ভুগছিলেন যা সারবে না। পরিবারকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ছেড়ে যেতে পারবেন না। সেই জন্য সকলকে 'মুক্তি' দিয়ে গেলেন।
কী বলছে পুলিশের তদন্ত ?
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ওই ডায়েরিটিকে সুইসাইড নোট হিসেবে নিচ্ছে। পুলিশের সন্দেহ, খুন করার পর আত্মহত্যা করেছেন চিকিৎসকও। হয়তো জলে ডুব দিয়ে বা অন্য কোনওভাবে। সেই সন্দেহে গঙ্গায় ডুবুরিও নামানো হয়। যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটক, গুজরাতের পর মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন-আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ওমিক্রন-আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে চতুর্থ ওমিক্রন-আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।