নয়াদিল্লি: বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড শান্তনু সেন। রাজ্যসভার অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড তৃণমূল সাংসদ। শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
এরসঙ্গে সঙ্গেই কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান শান্তনু। সাসপেনশনের পরেই রাজ্যসভায় তুমুল বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। এরপরই রাজ্যসভা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় উচ্চকক্ষ।
পেগাসাস-বিতর্কে আজ শুরু থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবির পাশাপাশি, আড়িপাতাকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রকে চেপে ধরতে একজোট হন বিরোধীরা।
লোকসভা ও রাজ্যসভা, সংসদের দুই কক্ষে মূলত এই দুটি ইস্যু নিয়ে ঝড় ওঠে। তৃণমূলের তরফে পেগাসাসকেই হাতিয়ার করা হয়। গতকাল কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রীর বক্তব্য পেশের সময় হাত থেকে টেনে কাগজ ছিঁড়তে দেখা যায় শান্তনু সেনকে।
তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস আনার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। পাল্টা পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর বিরুদ্ধে শান্তনু সেনকে হেনস্থা করার অভিযোগ আনার পরিকল্পনা করে তৃণমূল।
ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র তৈরি স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোন হ্যাকের অভিযোগে গোটা বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সত্য অনুসন্ধানে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ফ্রান্স।
যে দেশের সংস্থার তৈরি সফটঅয়্যার নিয়ে বিশ্বজোড়া বিতর্ক, সেই ইজরায়েল সরকারও পেগাসাস-তদন্তে মন্ত্রীদের বিশেষ দল গঠন করেছে।
গতকাল, রাজ্যসভায় বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সফটঅয়্যার ব্যবহার করে রিগিং করে ১৮টা আসন জিতেছিল বিজেপি।
অথচ মোদি সরকার কেন এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। সেই প্রসঙ্গে গতকাল রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে ওঠেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তমন্ত্রী বলেন, আগে হোয়াটসঅ্যাপে পেগাসাসের ব্যবহার নিয়ে একই দাবি উঠেছিল, এই রিপোর্টের কোনও যৌক্তিকতা নেই।
বক্তব্য চলাকালীনই তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রীর হাত থেকে বিবৃতির খসড়া ছিনিয়ে, ছিঁড়ে উড়িয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। পরে, তিনি দাবি করেন, হরদীপ পুরী আমাকে হুমকি দিয়েছেন, মারতে গেছিলেন।
শান্তনু সেনকে নিয়মভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ডের আর্জি জানিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে বিজেপি।