জম্মু: ফের জম্মুর আকাশে আইইডি-সহ পাক ড্রোনের হানা। গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা।
গতকাল রাতে জম্মুর কানাচক সেক্টরে হানা দেয় পাক ড্রোন। গুলি করে নামানোর পর দেখা যায় ড্রোনে আইইডি রয়েছে। বিস্ফোরণের উদ্দেশ্যেই সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোন পাঠানো হয়েছিল বলে অনুমান।
গত ২৬ জুন জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এয়ার ট্রাফিক সিগনাল বিল্ডিংয়ের পাশের একটি বাড়ির ছাদে এসে পড়ে বোমা। বিস্ফোরণে আহত হন ২ জওয়ান। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কালুচক সেনাঘাঁটির কাছে ড্রোন দেখা যায়। ড্রোন লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়।
পরের দিন সুঞ্জুয়ানে এক রাতে ৩ বার আকাশে সন্দেহজনক ড্রোনের দেখা মেলে। তারপর থেকে একাধিকবার জম্মুর আকাশে দেখা মিলেছে সন্দেহজনক ড্রোনের।
গত শুক্রবার, অর্থাৎ ১৬ জুলাই রাত ৮টা নাগাদ জম্মুর নান্দপুর, রামগড়, সাম্বা ও মিরাসাহিবে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে চারটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়।
নান্দপুরে সেনা জওয়ানরা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলিও চালান বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। বেশ কিছুক্ষণ জম্মুর আকাশে ছিল ওই চারটি ড্রোন।
তার আগের দিন, অর্থাৎ ১৫ তারিখ, জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনের কাছে সন্দেহজনক ড্রোনের দেখা মেলে। রাতে আরনিয়া সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে আকাশে চলন্ত আলোকোজ্জ্বল বস্তু দেখতে পান বিএসএফ জওয়ানরা। গুলি চালানোর পর সেটি পাক সীমান্তের দিকে চলে যায়।
ঠিক আগের রাতে অর্থাৎ ১৪ তারিখ, রাত ১০টা নাগাদ আরনিয়া সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে আকাশে চলন্ত আলোকোজ্জ্বল বস্তু দেখতে পান বিএসএফ জওয়ানরা। গুলি চালানোর পর সেটি পাক সীমান্তের দিকে চলে যায়।
তার আগে, গত ২ জুলাই, জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় আরনিয়া সেক্টরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী পাকিস্তানের দিক থেকে একটি ড্রোন উড়ে আসচতে দেখেন। ড্রোন লক্ষ্য করে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালান। এরপর ড্রোনটি ফিরে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত নজরদারি চালানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল ড্রোনটিকে।
এরইমধ্যে ১৫ অগাস্টের জন্য দিল্লিতেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। যে কোনওরকম ড্রোন, বেলুন, প্যারা গ্লাইডিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লির পুলিশ কমিশনার ডজারি করেছেন এই নিষেধাজ্ঞা।