নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার ১২ সাংসদের সাসপেনসন ইস্যু সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনে অচলাবস্থা কাটাতে যে দলগুলির রাজ্যসভার সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে সেরকম পাঁচটি দলকে আজ বৈঠকে ডেকেছে কেন্দ্র। সকাল ১০টায় সংসদের লাইব্রেরি বিল্ডিংয়ে ডাকা হয়েছে বৈঠক। যে দলগুলিকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে, তারা যাবে কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে আমন্ত্রিত দলগুলির নেতারা ইতিমধ্যেই সরকারের এই উদ্যোগকে বিরোধী ঐক্যে ভাঙন ধরাতে ‘ব্য়র্থ স্টান্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন।
রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ পৌনে দশটায় সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির ফ্লোর লিডারদের বৈঠকে ডেকেছেন।
উল্লেখ্য, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী যে পাঁচ দলের রাজ্যসভা সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই কংগ্রেস, শিবসেনা, তৃণমূল, সিপিএম ও সিপিআইয়ের নেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন। সকাল ১০ টায় এই বৈঠক হওয়ার কথা।
বৈঠকে সমস্ত দলকে না ডাকায় কেন্দ্রকে নিশানা বিরোধীদের
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে সমস্ত বিরোধী দলকে বৈঠকে না ডাকায় সরকারের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীকে লেখা চিঠিতে খাড়্গে বলেছেন, ১২ সাংসদের সাসপেনসনের প্রতিবাদে সমস্ত বিরোধী দলই ঐক্যবদ্ধ। আমরা ২৯ নভেম্বর থেকেই অনুরোধ করে আসছি যে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বা সভার নেতা পিযুষ গয়াল অচলাবস্থার অবসানের জন্য সমস্ত বিরোধী দলগুলির নেতাদের বৈঠকে ডাকুন। আমাদের এই যুক্তিসঙ্গত অনুরোধ মানা হয়নি। এর ওপর শুধুমাত্র পাঁচ বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠকে ডাকার সিদ্ধান্ত অন্য়ায্য ও দুর্ভাগ্যজনক।
রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনও শুধু মাত্র পাঁচটি দলকে বৈঠকে ডাকায় কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন। তিনি এই বৈঠককে ‘মনডে মর্নি স্টান্ট’ বলে অভিহিত করেছেন।
ট্যুইট করে সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম লিখেছেন, ১২ সাংসদের সাসপেনসনের প্রতিবাদে লড়াইয়ে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ। অধিবেশনের একেবারে শেষ লগ্নে শুধুমাত্র পাঁচটি দলকে বৈঠকে ডাকার উদ্দেশ্য হল বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরানো।