নয়া দিল্লি: এই নিয়ে টানা দু'দিন। দিল্লিতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলেন করোনাভাইরাসে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার একদিনে ১০৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৭ জুনের পর যা সর্বোচ্চ। একজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এ পজিটিভিটির হার ০.১৭ শতাংশ হয়েছে। ২৭ জুনের পর এত রোগী একসঙ্গে আক্রান্ত হল কোভিডে। 


এর আগে শনিবার, দিল্লিতে ৮৬ টি নতুন কোভিড কেস রেকর্ড করা হয়েছিল, তার একদিন আগে ৬৯টি নতুন করে করোনা আক্রান্তের কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ডিসেম্বরে এখনও পর্যন্ত, দিল্লিতে কোভিড-১৯ -এর কারণে তিনটি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। নভেম্বরের শুরুতে সাতটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যেখানে অক্টোবরে চারটি এবং সেপ্টেম্বরে পাঁচটি। শুক্রবার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত রোগীর মোট সংখ্যা ১২ থেকে লাফিয়ে ২২-এ পৌঁছেছে।


শনিবার, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন যে তার সরকার ওমিক্রন সংক্রমণ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। কেজরিওয়াল বলেছেন এর আগের, মহামারী থেকে শিক্ষা নিয়েছে তার সরকার। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমরা সবার কাছ থেকে সাহায্য নিয়েছি এবং একসাথে আমরা এটি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। 


এদিকে, প্রায় ৯০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জেরে যেভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল, তার থেকেও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। কারণ, এর উচ্চমাত্রার সংক্রমণ হার। এমনই আশঙ্কা করছেন ভারতের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। তাঁদের মতে, পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।



বিভিন্ন প্রমাণে দেখে গেছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বহু গুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। যার জেরে সংক্রমণের হারও বাড়বে তাড়াতাড়ি। তাছাড়া ডেল্টার থেকেও এই ভ্যারিয়েন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে বেশি সক্ষম। তবে, এপর্যন্ত ভারতে যে সব কেস দেখা গেছে, সেই অনুযায়ী, সংক্রমিতদের মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। যেমন- ক্লান্তি, গলায় ব্যথা ইত্যাদি। অধিকাংশই বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।