পটনা: চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল বিহারের একাধিক জায়গা। গয়া স্টেশনের আউটার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন। ভাবুয়া-পাটনা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের কামরায় লাগানো হল আগুন। আগুন লাগিয়ে দিলেন রেলওয়ের পরীক্ষায় বসা পরীক্ষার্থীরা। ২০১৯-এ হওয়া পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত অভিযোগে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের। ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিলেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। পুলিশের দিকে চলল ইটবৃষ্টি। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল পুলিশ। জেহানাবাদেও চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।


চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে গ্রুপ ডি পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছে। বেনিয়মের অভিযোগের তদন্তের জন্য রেল একটি কমিটিও গঠন করেছে। পরীক্ষা নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশেও। প্রয়াগরাজে চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের খোঁজে হস্টেলেও পৌঁছে যায়। এই ঘটনা নিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী ও সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী সরকারকে নিশানা করেছেন।


 


রেলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রেল একটি কমিটি গঠন করেছে, যা বিভিন্ন রেলওয়ে নিযুক্তি বোর্ড (আরআরবি)-র পক্ষ থেকে আয়োজিত পরীক্ষাগুলিতে সফল ও অসফল পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করবে। দুই পক্ষের অভিযোগ ও বক্তব্য শোনার পর কমিটি রেল মন্ত্রকে রিপোর্ট পেশ করবে। 





বিক্ষোভের পর রেল এনটিপিসি ও লেভেল-১ পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, রেল এক নোটিশ জারি করে পরীক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, বিক্ষোভের সময় ভাঙচুর সহ অন্যান্য বেআইনি কার্যকলাপে জড়িতদের রেলের পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। 


উল্লেখ্য,  আরআরবি এনটিপিসি (নন টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরিস) পরীক্ষা ২০২১-এর ফলের বিরোধিতা করে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ বিহার ও উত্তরপ্রদেশে বিরোধ প্রদর্শন করেছে, যা অন্য অনেক জায়গাতেও ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভের সময় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাতও হয়। বিক্ষোভের কারণে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করে দিতে হয়। পটনা, নওয়াদা, মুজফফরনগর, সীতামাড়ি, বক্সার ও ভোজপুর জেলাতেও বিক্ষোভ হয়। 
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৯-এ আরআরবি-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী একটি মাত্র পরীক্ষারই উল্লেখ করা ছিল। তাঁরা রেলের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগ করেছেন। পরীক্ষার ফল ১৫ জানুয়ারি ঘোষিত হওযার পর বিক্ষোভ সামনে আসে। রেল মন্ত্রক এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছিল যে, বিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল। সিবিটি-র প্রথম দফার পরীক্ষা সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সাধারণ পরীক্ষা ছিল।