নয়াদিল্লি:  পেগাসাসকাণ্ডের তদন্তে কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের। ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। ‘১ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও ২ সাইবার বিশেষজ্ঞ থাকছেন কমিটিতে। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে কমিটি গঠনের কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট।


রায় ঘোষণার সময়  সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির মন্তব্য,  ‘কেন্দ্রকে জবাব দিতে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। সময় দেওয়া সত্ত্বেও জবাব দেয়নি কেন্দ্র।ব্যক্তি-গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সাংবাদিক নয়, প্রত্যেক নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কয়েকজন আবেদনকারী সরাসরি পেগাসাসের শিকার। এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের গুরুদায়িত্ব সতর্ক থাকা। ‘গোপন রাখতে চাইলে নিজেদের থেকেও গোপন রাখা উচিত’.জর্জ অরওয়েলের উক্তি তুলে ধরে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।


তিন সদস্যের এই কমিটির প্রধান হবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরবি রবীন্দ্রন। কমিটির বাকি দুই সদস্য অলোক জোশী ও সন্দীপ ওবেরয়।কমিটিকে সাহায্য করবেন তিন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। এঁরা হলেন, গান্ধীনগরের ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স কমিটির ডিন নবীনকুমার চৌধুরী, কেরলের অমৃত বিশ্ব বিদ্যাপীঠমের স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক প্রভাকরণ ও আইআইটি বম্বের অ্যাসোসিয়েট প্রোফেসর অশ্বিন অনিল গুমস্তে।


সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ খণ্ডন করা হয়নি। এক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে পিটিশনকারীদের বক্তব্য মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। এ জন্য সুপ্রিম কোর্টের নজরদারি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হল।


সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, ‘নির্বিচারে কোনও ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারে হস্তক্ষেপ করা যায় না। ‘এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না।জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সরকার যা খুশি করতে পারে না।’


৮ সপ্তাহ পর ফের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে এই মামলার।


স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোন হ্যাক করেছিল কারা?ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিসরে হানা দিয়েছিল কারা? বুধবার সেই মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর, এবং সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক আগে, ইজরায়েলি সংস্থা  NSO-র তৈরি স্পাইওয়্যার, পেগাসাস ব্যবহার করে ফোন হ্যাকিংয়ের বিষয়টি সামনে আসে। The Wire সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়, হ্যাকারদের নিশানায় ছিলেন রাহুল গান্ধী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেতা। প্রশান্ত কিশোরের মতো ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট।৪০ জনের বেশি সাংবাদিক।সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতি।দেশের একাধিক নিরাপত্তা এজেন্সির বর্তমান এবং প্রাক্তন প্রধান।কয়েকজন শিল্পপতি ও সমাজকর্মী। এরপরই আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আবেদন জানিয়ে, একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।