Punjab News:  কৃষক বিক্ষোভের কারণে পঞ্জাবে নির্ধারিত সভা না করেই গতকাল ফিরে যেতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।  এই ঘটনা ঘিরে পঞ্জাব কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র চাপানউতোর দেখা গিয়েছে। বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যেও চলেছে বাকযুদ্ধ। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে ফিরে যেতে বাধ্য করা কৃষক সংগঠনের এক নেতা বলেছেন, তাঁরা যদি জানতেই যে, এই রাস্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যাবেন, তাহলে তাঁদের প্রতিক্রিয়া অন্যরকম হত। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন ক্রান্তিকারী (ফুল) এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলদেব সিংহ জীরা বলেছেন, হাজার হোক, তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী।


ফিরোজপুরের এসএসপি প্রধানমন্ত্রীর আসা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন-জীরা


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বলদেব সিংহ জীরা বলেছে, ফিরোজপুরের এসএসপি আমাদের জানাতে এসেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী এই রাস্তা দিয়েই যাবেন। কিন্তু আমাদের তখন মনে হয়েছিল যে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে এসএসপি মিথ্যে বলছেন। আমরা সেখানে (ফিরোজপুরের সমাবেশ স্থলে যাওযার রাস্তা) বিজেপির লোকেদের গাড়ি আটকানোর জন্য ছিলাম। কিন্তু আমরা যদি জানতাম যে, প্রধানমন্ত্রী এই রাস্তা দিয়ে যাবেন, তাহলে রাস্তা খালি করে দিতাম।


জীরা বলেছেন, লুধিয়ানা-ফিরোজপুর সড়কে পিয়ারেনা গ্রামের পাশে নালার ওপর তৈরি সেতুতে তাঁরা ধর্না দিচ্ছিলেন। তিনি বলেছেন, আমাদের ধর্নার কারণে বিজেপি সমর্থকদের গাড়িগুলিকে বিকল্প রাস্তা ধরার জন্য বলা হয়। আমরা জানতাম যে, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে সভাস্থলে যাবেন। পরে টেলিভিশনের খবরে জানতে পারি যে, প্রধানমন্ত্রী যানজটে আটকে গিয়েছেন এবং আমাদের ধর্নার কারণে ফিরে গিয়েছেন।


কিষাণ সংগঠনের নেতা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বাস্তবেই এই রাস্তা নিয়ে যাচ্ছেন, এ কথা জানতে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া আদালা রকম হতে পারত। হাজার হোক, তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। খুব বেশি হলে আমরা ফিরোজপুর যাওয়ার সময় তাঁর কাছে দু’মিনিট সময় চাইতাম।


জীরার অভিযোগ, ধর্নাস্থলে বিজেপি কর্মীসমর্থক ও বিক্ষোভকারী কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। তিনি বলেন, আমরা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের গাড়িগুলি চালকদের বিকল্প রাস্তা ধরতে বলি। কিন্তু এরইমধ্যে একদল ঝগড়া শুরু করে দেয়।এরফলে সংঘর্ষে কয়েকজন জখম হন।


উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী যখন ফিরোজপুর যাচ্ছিলেন, তখন পুলিশ কর্মীদের একটি দল বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের কাছে যায় এবং পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক জীরার সঙ্গে কথা বলেন ।  কয়েক মিনিট পর জীরা হাতে মাইক নিয়ে ঘোষণা করেন যে, পুলিশ প্রশাসন আমাদের কাছে এসেছে। ওরা বলছেন, তাঁদের চাকরি ঝুঁকির মুখে। প্রধানমন্ত্রী এই রাস্তা দিয়ে যাবেন। ওরা আমাদের ভাই..আমাদের সহযোগিতা করা উচিত। কিন্তু আমি জানতে পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর এখান দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি আগে থেকেই হুসেইনিওয়ালাতে আছেন। সাংবাদিকরা আমাকে এ কথা জানিয়েছেন।


জীরা আরও বলেছেন, পুলিশ আমাদের মারতে পারে বা গুলি চালাতে পারে, কিন্তু আমরা এখান থেকে সরব না।


এরইমধ্যে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, প্রধানমন্ত্রী তালখণ্ডিতে পৌঁছে গিয়েছেন এবং রাস্তায় রয়েছেন। কিন্তু তাঁর কথায় বিশ্বাস করেননি কৃষক নেতা।