জাকার্তা: জি-২০ (G-20) শীর্ষবৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছেন, চিঠি (letter) লিখে ইন্দোনেশিয়ার (indonesia) প্রেসিডেন্টকে (president) এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী (prime minister) নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। ঈদ অল-আধার শুভেচ্ছা জানিয়ে এদিন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকে একটি ব্যক্তিগত চিঠি লেখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে জানান, চলতি বছরের শেষে উইডোডোর দেশে আয়োজিত জি-২০ শীর্ষবৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি।
কী লেখা চিঠিতে?
ইন্দোনেশিয়ায় ভারতের দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে চিঠির বিষয়বস্তুর কথাও জানিয়েছে। ভারতের ২০ কোটি মুসলিম নাগরিক যে ঈদ অল-আধায় ভালোবাসা, করুণা, ত্য়াগ ও ক্ষমার মতো বিশ্বজনীন আদর্শকে উদযাপন করেন সে কথা লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে বার্তা, জি-২০ শীর্ষবৈঠক উপলক্ষ্যে ইন্দোনেশিয়া সফরের অপেক্ষায় রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হল, ডিসেম্বরের শীর্ষবৈঠকেই জি-২০-র সভাপতিত্ব করার কথা ভারতের।
ফিরে দেখা...
২০১৮ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর ইন্দোনেশিয়া সফরের সময় সুনির্দিষ্ট কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি হয়। সে বছরই ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপনে প্রধান অতিথি হয়ে নয়াদিল্লি আসেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্টনার ইন্দোনেশিয়া। অন্তত সাড়ে আট হাজার ভারতীয় সে দেশের নানা ধরনের পেশায় জড়িত। ইতিহাসগত ভাবেও দুদেশের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ যথেষ্ট শক্তিশালী। স্বাভাবিক ভাবেই ভারত-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কের রসায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গোটা ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে। আন্তর্জাতিক মহলের বড় অংশ সেই রসায়নের দিকে নজর রাখে।
গত বছর জি-সেভেন শীর্ষবৈঠকের পাশাপাশি বৈঠক করেছিলেন মোদী-উইডোডো। আবার চলতি মাসের গোড়ায় জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ইন্দোনেশিয়া। রাশিয়া, আমেরিকা, চিন, নেদারল্যান্ডস-সহ একাধিক দেশের বিদেশমন্ত্রীরা যোগ দেন তাতে। এবার জি-২০ শীর্ষবৈঠকের প্রহর গোনা। চিঠি লিখে সে ব্যাপারে নিজের অপেক্ষার কথা জানিয়েও দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:গোয়ায় কংগ্রেসের ঘর ভাঙতে উদ্যত বিজেপি! ৬ বিধায়কের দলবদলের জল্পনা