নয়াদিল্লি: দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের (Freedom Struggle) ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত রেলস্টেশনগুলির (Railway station) মধ্যে যেটি বাড়ির কাছাকাছি (close vicinity), অন্তত সেটি যেন দেখে আসেন দেশবাসী। এদিনের 'মন কি বাত'-এ (Mann Ki Baat) অন্যতম আর্জি প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদীর ( )। গত ১৮-২৩ জুলাই 'আজাদি কি রেল গাড়ি' উদযাপন করেছে ভারতীয় রেল। এই উপলক্ষ্যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ২৪ রাজ্যের অন্তত ৭৫ টি স্টেশন ও ২৭টি ট্রেন সাজানো হয়েছিল। এদিন সেই স্টেশনগুলির প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, 'আপনাদের কাছাকাছি এমন যে ঐতিহাসিক স্টেশন রয়েছে, সময় করে সেটি দেখে আসুন।'


কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
রবিবারের রেডিও বার্তায় গোমো স্টেশনের কথাও বলেন মোদী। সরকারি ভাবে এখন স্টেশনটির নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস জংশন গোমো। কিন্তু কেন? হঠাৎ কেন নামটি বদলানো হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দেন প্রধানমন্ত্রী। আসে ইতিহাসের সেই অধ্যায়ের কথা যখন ব্রিটিশের চোখে ধুলো দিয়ে ভারত ছেড়েছিলেন নেতাজি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কালকা মেলে চড়ে ব্রিটিশ অফিসারদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষ।' আসে লখনউ-এর কাছে কাকোরি স্টেশনের কথা। সেই সূত্রে রামপ্রসাদ বিসমিল এবং আশফাক উল্লাহ খানের স্মৃতিচারণাও করেন মোদী। উত্তরের পাশাপাশি দক্ষিণের প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর কথায়। তামিলনাড়ুর থুত্তুকুড়ি জেলার ভাঞ্চি মানিয়াচ্চি জংশনের কথাও বলেন। তামিল স্বাধীনতা সংগ্রামী ভাঞ্চিনাথনের স্মৃতিতেই যে জংশনটির ওই নামকরণ হয়েছে, সে কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। 


উদযাপন রেলের
'আজাদি কি রেল গাড়ি' উপলক্ষ্যে শুধু আলোর রোশনাই দিয়েই যে স্টেশনগুলিকে সাজানো হয়েছিল, তা নয়। স্থানীয় ভাষায় পথনাটক, লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো, দেশাত্মবোধক চলচ্চিত্র ও গান-সব কিছুরই ব্যবস্থা হয়েছিল ওই ৭৫টি স্টেশনে। গাঁধীজি থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, সকলকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ ভাবে সেজে ওঠে ২৭টি ট্রেন। দেশের মানুষ যাতে সে সবের অন্তত কিছুটা দেখেন, সেই আর্জিই এদিন জানান প্রধানমন্ত্রী। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে পড়ুয়াদের ওই স্টেশনগুলিতে নিয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন, সেই আবেদনও রাখেন তিনি 'মন কি বাত'-এ।


আরও পড়ুন:নোটকাণ্ডে ধৃত ৩ কংগ্রেস বিধায়কের সিআইডি হেফাজত