চণ্ডীগড় : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফিরোজপুর সফরে কনভয় আটকে পড়ার ঘটনার তদন্তে উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন। কমিটি গঠন করল পাঞ্জাব সরকার (Punjab Government)। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানান, কমিটিতে থাকবেন বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) মেহতাব সিংহ গিল, স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখ্যসচিব এবং বিচারপতি অনুরাগ বর্মা।


ঠিক কী হয়েছিল ?


বুধবার ফিরোজপুরে কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে ৪২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা ছিল তাঁর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার সকালে ভাতিন্দায় নামেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তাঁর হেলিকপ্টারে হুসেনওয়ালা জাতীয় শহিদ স্মৃতিসৌধে যাওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টি ও খারাপ দৃশ্যমানতার কারণে, প্রধানমন্ত্রী ২০ মিনিট অপেক্ষা করেন। যাতে আবহাওয়ার উন্নতি হয়।


আরও পড়ুন ; রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে পড়ার ঘটনায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি বিজেপির


কিন্তু, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় ঠিক হয় যে, প্রধানমন্ত্রী রাস্তা ধরে জাতীয় শহিদ স্মৃতিসৌধে যাবেন। যার জন্য দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে। পাঞ্জাবের ডিজিপি নিরাপত্তার যাবতীয় আশ্বাস দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী রাস্তা দিয়ে রওনা দেন। হুসেনওয়ালা জাতীয় শহিদ স্মৃতিসৌধের ৩০ কিমি ব্যবধানে, যখন প্রধানমন্ত্রীর কনভয় একটি ফ্লাইওভারে পৌঁছয়, তখন দেখা যায় কয়েকজন বিক্ষোভকারী রাস্তা অবরোধ করেছেন। ১৫-২০ মিনিট ফ্লাইওভারে আটকে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এটা বড়সড় গাফিলতি বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির কথা আগে থেকে পাঞ্জাব সরকারকে জানানো হয়েছিল।


এদিকে এই ঘটনায় চরণজিৎ সিং চান্নির (Punjab chief minister Charanjit Singh Channi) ইস্তফা দাবি করেছে বিজেপি। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপির প্রতিনিধিদল। এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পাঞ্জাব সরকার। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।