Maoist Attack On Railway Track:  ঝাড়খণ্ডের গিরিডির কাছে রেললাইনে বিস্ফোরণ। অল্পের জন্য বড়সড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা। গতকাল রাতে হাওড়া-দিল্লি ভায়া গয়া-ধানবাদ শাখায় চিচাকি ও চৌধুরীবাঁধ স্টেশনের মাঝে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে মাওবাদীদের একাধিক পোস্টার। তারাই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আপ ও ডাউন রেললাইন। তিনদিন আগে ওই এলাকায় বরাকর নদীর সেতুতে বিস্ফোরণ হয়। সূত্রের খবর, সিপিআই-মাওবাদী সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা প্রশান্ত বসু ও তাঁর স্ত্রীর মুক্তির দাবিতে ওই এলাকায় ২১ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিরোধ দিবস পালন করা হচ্ছিল। আজ বনধের ডাক দেয় মাওবাদীরা। বিস্ফোরণের জেরে হাওড়া-শিয়ালদা ও দিল্লির মধ্যে একাধিক ট্রেন ঘুরপথে পাটনা-ঝাঝা হয়ে চলাচল করছে।


রেললাইনে বিস্ফোরণের খবর জানিয়ে ধানবাদ বিভাগের জনসংযোগ আধিকারিক রাজেশ কুমার বলেছেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু-গয়া রেললাইনে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর ট্রেন চলাচলের পথের পরিবর্তন ঘটানো হয়। সকাল ৬.৩৫ টায় ট্রাককে ফিট ঘোষণা করা হয়। ফলে যে ট্রেনগুলির রুট পরিবর্তন করা হয়েছিল, সেগুলি ফের আগের রুটে ফেরানোর কথা জানানো হয়।


উল্লেখ্য, মাওবাদীরা ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস ও ২৬ জানুয়ারি প্রজতন্ত্র দিবস কালা দিবস হিসেবে পালন করে। এর মাধ্যমে মাওবাদীরা বার্তা দেয় যে, তারা দেশের সংবিধানকে মানে না। এজন্য ২৬ জানুয়ারি যখন দেশজুড়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয়, তখন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় বনধ ঘোষণা করে তারা। এই বনধের সময় তারা নাশকতামূলক কাজকর্ম চালানোর চেষ্টা করে। তারা জওয়ানদের নিশানা করে, পুলিশ ক্যাম্পে হামলার চেষ্টা করে। সড়ক পথ অবরোধ করে তারা রেল লাইনেও ক্ষতিগ্রস্ত করার সুযোগ খোঁজে। সেই সঙ্গে ১৫ অগাস্ট ও ২৬ জানুয়ারি তারা কালো পতাকাও তোলে। ওই এলাকার লোকজনদের জাতীয় উৎসবে যোগ না দেওয়ার ব্যাপারে তারা চাপও তৈরি করে। উল্লেখ্য, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার মাওবাদীদের দমন অভিযান চালাচ্ছে। এরইমধ্যে উপদ্রব তৈরির চেষ্টা করে তারা।