নয়াদিল্লি: আগামী ১৮ জুলাই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election 2022)। ভোটগণনার প্রয়োজন হলে, ২১ জুলাই ভোটগণনা হবে। বৃহস্পতিবার দেশের ১৬তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে জানাল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এ দিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সেখানে তিনি বলেন, "রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৫ জুন সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আগামী ২৯ জুন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অন্তিম দিন। নির্বাচন হবে ১৮ জুলাই। ভোটগণনার প্রয়োজন পড়লে, ২১ জুলাই গণনা হবে।"


১৬তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন


এই মুহূর্তে দেশে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কোভিড বিধি মেনেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। আগামী ২৪ জুলাই দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে রামনাথ কোবিন্দের (Ram Nath Kovind)। দেশের সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। সেই মতোই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার দিকে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন।


সংসদের দুই কক্ষ, রাজ্যসভা এবং লোকসভার নির্বাচিত সদস্য এবং দেশের সমস্ত রাজ্য়, রাজধানী দিল্লি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচ্চেরী বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত ইলেক্টোরাল কলেজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছে। তবে রাজ্যসভা, লোকসভা, সব রাজ্য়, দিল্লি এবং পুদুচ্চেরী বিধানসভার মনোনীত সদস্যরা ইলেক্টোরাল কলেজে শামিল হওয়ার যোগ্য নন। তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন না তাঁরা। একই ভাবে বিধান পরিষদের সদস্যরাও এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন না।


আরও পড়ুন: Prophet Muhammad Row: নূপুর শর্মার নামে এফআইআর দিল্লি পুলিশের, আর কার কার নাম?


দিল্লিতে সংসদভবনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান করবেন সংসদরা। রাজ্য বিধানসভার সদস্যরা নিজ নিজ রাজ্যের বিধানসভায় মতদান করবেন। রাজ্যসভার সাধারণ সম্পাদক রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা পালন করবেন বলে জানিয়েছে কমিশন। সব সাংসদদের মিলিট ভোটের মান ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ২০০। বিধায়কদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ২৩১। মোট ইলেক্টোরাল রয়েছে ৪ হাজার ৮০৯ বলে জানিয়েছে কমিশন। ১০ জুন ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন। তার একদিন আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল কমিশন।


মেয়াদ শেষ হচ্ছে কোবিন্দের


২০১৭ সালে বিরোধী প্রার্থী, প্রাক্তন লোকসভা স্পিকার মীরা কুমারকে পরাজিত করে দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন রামনাথ কোবিন্দ। ৬৫.৬৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন কোবিন্দ, ইলেক্টোরাল কলেজের ৭ লক্ষ ২ হাজার ৪৪ ভোট পড়েছিল তাঁর সমর্থনে।