নয়া দিল্লি : মনোনয়ন জমা দিলেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে NDA-র প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু ( Droupadi Murmu)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, বিজেপি ও এনডিএ শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। সংসদের লাইব্রেরি বিল্ডিংয়ে চলে মনোনয়নপর্ব। 


মনোনয়নের জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দ্বিতীয় দফার প্রস্তাবক ছিলেন বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তৃতীয় সেটের প্রস্তাবক ছিলেন হিমাচল ও হরিয়ানার বিধায়ক ও সাংসদরা। চতুর্থ দফায় গুজরাতের বিধায়করা। 


আরও পড়ুন ; জনজাতি তাস বিজেপি-র, যশবন্তে ভরসা বিরোধীদের, রাইসিনা হিলের দৌড়ে কে এগিয়ে


আজ মনোনয়নপর্বে দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীষূষ গোয়াল, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতিন গড়করি, আদিবাসী সম্পর্কিত দফতরের মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভিকে সিং, ভূপেন্দ্র যাদব, গিরিরাজ সিং-সহ অন্যরা।


একনজরে দ্রৌপদীর কেরিয়ার-


শিক্ষিকা হিসেবে কর্মজীবনের সূচনা। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান ১৯৯৭ সালে।  ওড়িশায় জনজাতি নেত্রী হিসেবে সুপরিচিত তিনি। ২০০০ সালে পৃথক ঝাড়খণ্ড গঠিত হওয়ার পর দ্রৌপদীই সেখানকার প্রথম পূর্ণমেয়াদি রাজ্যপাল। ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পদে টিকে ছিলেন তিনি। ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলা. বিজেপি-র সভাপতিও ছিলেন দ্রৌপদী। একেবারে অপ্রত্যাশিত ভাবেই তাঁর নাম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনীত করে এনডিএ, যার পর ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দলও ভূমিকন্যা দ্রৌপদীকে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। 


আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তাতেই মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হচ্ছেন দ্রৌপদী এবং যশবন্ত। ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হচ্ছে রামনাথ কোবিন্দের। তার আগে, ২১ জুলাই ভোটগণনা সম্পন্ন হবে। তবে রাইসিনা হিলের দৌড়ে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও, দ্রৌপদী এবং যশবন্তের মধ্যে মিলও রয়েছে। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে তাঁদের সংযোগ সর্বজনবিদিত। কারণ দীর্ঘ ছ'বছর ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন দ্রৌপদী। আবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন যশবন্ত।