অমৃতসর : ফেক নিউজের আশঙ্কাও যেমন সত্যি, তেমনই একইরকম সত্যি আর্তের সাহায্যের অনন্ত সম্ভাবনার দ্বার। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে তেমনভাবেই ভাগ্য ফিরল পঞ্জাবের ১০ বছরের খুদে বনশ সিংহের। লুধিয়ানার এক ট্রাফিক সিগন্যালের আলোর উপর এতদিন নির্ভরশীল ছিল যার ভাগ্য। সিগন্যাল লাল হলেই ছুটে গিয়ে গাড়িগুলোকে মোজা কেনার আবেদন করত বনশ। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় ক্লাসের টুয়ের বেশি পড়াশোনার সুযোগ হয়নি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে হঠাৎই গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে তরতরিয়ে ছুটতে শুরু করল ছোট্ট বনশের ভাগ্য।
সিগন্যালে বনশের মোজা বিক্রির মাঝে তাঁর সঙ্গে কথোপকথন জুড়েছিলেন জনৈক এক পথচারী। যেখানে তিনি খুদেটির কাছে জানতে চান সে স্কুলে যায় কি না, যার উত্তরে বেশ সপ্রতিভভাবেই না বলে জানিয়ে বিষয়টা বুঝিয়ে বলে সে। বনশের সঙ্গে কথোপকথনের সেই ভিডিও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন তাঁর সঙ্গে কথা বলা ব্যক্তি। বনশের ভাগ্যবদলের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টার আবেদন নিয়ে সকলে এগিয়ে আসার বার্তাও দেন।
যে ভিডিওর কার্যত সাড়া ফেলে দেয় পঞ্জাবে। ভাইরাল হয়ে যাওয়া যে ভিডিও গিয়ে পৌঁছয় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহের কাছেও। তিনি তারপর নিজে থেকে বনশের ভাগ্যবদলের দায়িত্ব নেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন যাতে বনশ ফের স্কুলে ভর্তি হতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য। পাশাপাশি কঠিন পরিস্থিতি সামলে ওঠতে সাহায্যের জন্য বনশের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যও করেন তিনি।
বনশের ভাগ্যবদলের ব্যবস্থাপনা করেই থেমে থাকেননি ক্যাপ্টেন। তিনি তাঁর অফিসারদের নির্দেশ দেন ভিডিও কলে খুদের সঙ্গে কথা বলানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ানোর জন্য। তারপর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিজে বনশকে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে উৎসাহ জোগান ভিডিও কলের মাধ্যমে। আর তারপর গোটা ঘটনাটি তিনি ভাগ করে নেন সোশ্যাল মাধ্যমে।
ট্যুইটারে গোটা ঘটনাক্রমের ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। যেখানে অভিভাবকের সুরেই বনশকে পড়াশোনা করার বার্তাও দেন তিনি। আর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা এই ভিডিওটিও আপাতত ভাইরাল। সম্ভাবনার আকাশ যে ছড়িয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে, সেই বিশ্বাস ফিরে পেয়েই নেটিজেনরাও আপ্লুত।