চণ্ডীগড়: উত্তর ভারতে কৃষক আন্দোলন চলার মধ্যেই পঞ্জাবের পুরভোটে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল বিজেপি। আটটি পুরসভার মধ্যে এখনও পর্যন্ত সাতটিতেই জিতেছে কংগ্রেস। কাল ঘোষণা হবে মোহালি পুরভোটের ফলাফল। ৫৩ বছর পর ভাতিন্ডা পুরসভা দখল করল কংগ্রেস। শক্ত ঘাঁটি পঠানকোট ও গুরুদাসপুরও এবার হাতছাড়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের।পুর নির্বাচনে দলের এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ। তিনি বলেছেন, ‘এই জয়  রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের উন্নয়নমূলক নীতির প্রতি মানুষের আস্থার প্রতিফলন।  সেইসঙ্গে তা শিরোমণি অকালি দল,আপ ও বিজেপির মতো বিরোধী দলগুলির জন-বিরোধী নীতিরও প্রত্যাখান করেছেন ভোটদাতারা’।

  


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনীল জাখর, দলের সমস্ত বিধায়ক ও কর্মী-সমর্থকদের অভিনন্দন জানিয়ে অমরিন্দর বলেছেন, ‘রাজ্যের মানুষ তিন বিরোধী দলের বিভাজনমূলক, অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক ও পশ্চাদমুখী কর্মসূচী নাকচ করে দিয়েছেন’। 
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘ওই বিরোধী দলগুলি রাজ্যে ও রাজ্যের ভবিষ্যতকে নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে’।  এ ধরনের ‘নেতিবাচক ও অশুভ শক্তি’কে পরাস্ত করার জন্য তিনি রাজ্যের জনগনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। 
অমরিন্দর বলেছেন, ‘দানবীয় কৃষি আইন চালু হওয়ার পর এই প্রথম বড়সড় কোনও নির্বাচন হল রাজ্যে’। ভোটে এই আইনের প্রতি রাজ্যের মানুষের ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। বিতর্কিত কৃষি আইনের জন্য এনডিএ-র প্রাক্তন শরিক শিরোমণি অকালি দল ও আপ-কেও দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই দুই দল আইন পাসের ক্ষেত্রে বিজেপিকে সহযোগিতা করেছিল। 
অমরিন্দর বলেছেন, ‘আইন পাস হওয়ার পর শিরোমণি অকালি দল ও আপ-এর নাটক ও কুম্ভীরাশ্রু মানুষকে বোকা বানাতে ব্যর্থ হয়েছে’। 


গত ৫৩ বছরে প্রথমবার ভাতিন্ডায় জয় পেল কংগ্রেস। কংগ্রেস মোগা, হোশিয়ারপুর, কাপুরথালা, আবোহার, পাঠানকোট, বাটালা ও ভাতিন্ডায় জয়ী হয়েছে। 
জানা গেছে, কংগ্রেস সাত পুরসভা ও অমৃতসরের দুটি ওয়ার্ডের উপনির্বাচন সহ মোট ৩৫১ ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭১ টিতে জয়ী হয়েছে। শিরোমণি অকালি দল জয় পেয়েছে ৩৩ ওয়ার্ডে, বিজেপি ২০ ওয়ার্ডে। আপ জয়ী হয়েছে ৯ টি ওয়ার্ডে। নির্দল প্রার্থীদের দখলে গিয়েছে ১৮ ওয়ার্ড।